তরুণরাই যেকোন উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি…আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

প্রশান্তি ডেক্স ॥  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘তরুণরাই যেকোন উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তাই তাদের ইতিবাচক বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তারা (তরুণ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

বাংলাদেশে তরুণ মেধাবীদের বিকাশে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড’র ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার-২০২০’ প্রোগ্রাম-এর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সোমবার এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটি সূচনা করেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং ঝেংজুন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এস. এম. মোস্তফা আল মামুন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আশিকুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ, বিগত বছরের এই প্রোগ্রামের দুই বিজয়ী এবং হুয়াওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামটি তরুণদের আইসিটি দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত বিকাশে সহায়তা করে। আমাদের প্রত্যাশা, এ প্রোগ্রামটি আইসিটি খাতে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়তে উজ্জীবিত করবে এবং বিগ ডেটা, আইওটি এর মতো নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান লাভে সহায়তা করবে। যার ফলে, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। আর আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের সেই পরিবেশটা তৈরি করে দিচ্ছে বলে আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই। এ উদ্যোগগুলো তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশে সহায়ক হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশীদার হিসেবে হুয়াওয়ের ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্থানীয়ভাবে আইসিটি খাতে তরুণ মেধাবীদের বিকাশ এবং তাদের মাঝে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে বছরের সবচেয়ে বড় সিএসআর প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ আয়োজন করে হুয়াওয়ে।

এবছর বাংলাদেশে এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট এবং রুয়েট থেকে ছাত্রছাত্রীগণ অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিযোগিতায় ঢাবি, চুয়েট ও কুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীগণ এবং অন্যদিকে, বুয়েট ও রুয়েটের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীগণ অংশ নিবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগগুলো থেকে চূড়ান্ত বর্ষের দু’জন সেরা শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হবে। সিজিপিএ, তাৎক্ষণিক পরীক্ষা এবং নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের ওপর শিক্ষাথীদের দেয়া প্রেজেন্টেশনের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীগণ চীনের বেইজিং ও শেনঝেনে অবস্থিত হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঁচ দিনব্যাপী অনলাইন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। বৈশ্বিকভাবে সিডস ফর দ্য ফিউচার কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালে। এ কর্মসূচিটি বিশ্বব্যাপী ১২৬টি দেশ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫শ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে। এদের মাঝে ৫ হাজার ৭৭০ জনেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ লাভের জন্য হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৪ সালে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’-

Leave a Reply

Your email address will not be published.