বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে দুই শিক্ষিকার সংসার!

প্রশান্তি ডেক্স ॥  পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের জন্য নির্ধারিত একটি ভবনের পুরো একটি ফ্লোর দখল করে নিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক। ওই দুই শিক্ষকের নাম মোসা. সামসুন্নাহার ও শাহরিয়া আক্তার শিখা।

গত ৬ মাস ধরে ওই দুই শিক্ষক পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে ওই বিদ্যালয় ভবনে বসবাস করছেন। শুধু বসবাসই নয় ওই দুই শিক্ষক এই করোনাকালেও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত প্রাইভেট কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

একদিকে বিদ্যালয় বন্ধ তার মধ্যে ওই দুই শিক্ষকের এহেন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের কাম-সাইক্লোন শেল্টারের দ্বিতীয় তলায় আসবাবপত্র দিয়ে পুরো সংসার সাজিয়েছেন ওই দুই শিক্ষক। রয়েছে কোচিং করানোর জন্য পৃথক রুমের ব্যবস্থা। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে হেনস্থার শিকার হওয়ার ভয়ে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক জানান, ওই দুই শিক্ষক রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে দিনের পর দিন তারা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাস এবং কোচিং করালেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে শিক্ষক সামসুন্নাহার ও শাহরিয়া আক্তার শিখার কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, বিশেষ বিবেচনায় তারা ওই বিদ্যালয় ভবনে আছেন। বিদ্যালয় খুললে তারা আবার চলে যাবেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তেই তারা ওই ভবনে বসবাস করছেন। প্রাইভেট কোচিং করানোর বিষয়টি এড়িয়ে যান তারা।

এ বিষয়ে সূর্যমনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, আমি অনুমতি দেয়নি। ওই দুই শিক্ষকের থাকার বিষয়ে আমার মতামত জানতে চাইলে আমি বলেছি, এই মুহূর্তে যদি ওই ভবনটি প্রয়োজনীয় না হয় সেক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি দিলে আমার কোনো আপত্তি নেই।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিশেষ বিবেচনায় ওই দুই শিক্ষককে থাকতে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এভাবে বসবাস কিংবা কোচিং করানোর কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত সাপেক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.