প্রশান্তি আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার দায়ে অভিযুক্ত ব্রেন্টন ট্যারান্টকে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) তার বিরুদ্ধে এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। দেশটির ইতিহাসে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন দন্ড দেয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। দেশটিতে হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন কারাদন্ড হলেও একটা সময় পর মুক্তি পান অপরাধী। তবে এই অস্ট্রেলীয়র ক্ষেত্রে তা হবে না। ব্রেন্টন ট্যারান্টের বিরুদ্ধে ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা ও একটি সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রমের অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগ স্বীকার করে নেন টারান্ট। ওই হত্যাকান্ডের পর
নিউজিল্যান্ডে বন্দুক আইন আরও কঠোর করে। বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডারের বেঞ্চে এই বিচারের শুনানি শুরু হয়েছিল সোমবার। রায় পড়তে গিয়ে ট্যারান্টের এই হত্যাকান্ডকে ‘অমানবিক’ বলেছেন তিনি। ম্যান্ডার আরও যোগ করে বলেন, তার মনে ‘কোনও দয়া-মায়া ছিল না।’ ২০১৯ সালের ১৫ মার্চে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে নামাজ পড়া অবস্থায় গুলি করে ৫১ জন মুসলমানকে হত্যা করা অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ব্রেন্টন ট্যারান্টকে গত রোববার (২৩ আগস্ট) আদালতে আনা হয়। ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ও নিহতদের পরিবারের স্বাক্ষ্য দিয়ে সোমবার শুরু হয়েছিল চারদিনের শুনানি। ওই হত্যাযজ্ঞের কারণে আজীবনের জন্য কারাদন্ড যে হতে যাচ্ছে ট্যারান্টের তা ছিল নিশ্চিত ছিল। তবে স্বাক্ষ্য দিতে আসা প্রত্যেকের দাবি ছিল যেন কোনোদিন আলোর মুখ দেখতে না পান এই অপরাধী। হলোও তাই। নিউ সাউথ ওয়েলসের ২৯ বছর বয়সী বাসিন্দা ট্যারান্ট এর আগে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এবং পরে আত্মপক্ষ সমর্থনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। শুনানিতে ৬০ জনের বেশি লোক সশরীরে স্বাক্ষ্য দেন। তাদের কেউ বিদেশ থেকে এসেছেন এবং দুই সপ্তাহের করোনাভাইরাস কোয়ারেন্টাইনে থেকেছেন।