আগষ্ট শেষে এসে যা দেখা ও বোঝা গেল তা খুবই দু:খের। করোনা নামক বৈশ্বিক মহামারি এবং বন্যার করাল ঘ্রাস এমনকি অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। তবে মানুষের যে কষ্ট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার লাগবে মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র এবং সরকার এমনকি মিডিয়ার কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণের হাক ডাকই বেশী। তবে সরকার ও সাধারণ জনগণ এমনকি কোমল মনের খোদাভক্ত মানুষগুলি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই মহামারিতুল্য প্রতিকুল পারিবেশের সঙ্গে। করোনা কালীন সময়ে বিশেষ করে আগষ্ট মাসে মানুষের নেতিবাচক সকল অপপ্রচার বন্ধ হবে এবং ইতিবাচক সকল সফল প্রচার ভরপুর থাকবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু দু:খের বিষয়টি হলো স্যোসাল মিডিয়ায় সকল নেতিবাচক প্রপাগান্ডা প্রচারে এখন সয়লাভ। যেন সদ্য উদঘাটিত সত্য প্রচারিত হচ্ছে এই আগষ্টকে নতুন করে কলঙ্কিত করার জন্য।
হায়রে বিশ্ববাসী এখনও তোদের শিক্ষা হলো না বরং পালিয়ে বেড়ানোর আড়ালে মিথ্যার ফুলঝুড়ি আওড়িয়ে আওড়িয়ে পৃথিবীকে বিষিয়ে তুলছো। করোনাকে নিয়ে কতযে বাহারি বিজ্ঞাপন দিয়েছে এবং জনমনে একটি ভয়াবহতম ভীতির সঞ্চার করাচ্ছে যার কবলে অনেকের জীবন বিপন্ন হয়েছে। করোনা নিয়ে ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের চেয়ে নেতিবাচক ভিতির সংবাদই বেশী ছড়িয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কবল থেকে মুক্তির এমনকি সুরক্ষার সংবাদ প্রচারের চেয়ে নেতিবাচক সংবাদই বেশী চাউর হয়েছে। তবে ভূখা-নাঙ্গা মানুষের ছবি বিশ্ববাসীকে দেখানোর মহড়াও কম হয়নি। তলাবিহীন ঝুড়ির কান্ডজ্ঞানহীন আচরনের পুনরাবৃত্তি এবার অনেকেই ঘটাতে চেয়েছে। এই সবই যেন ব্যক্তি লাভের উদ্দেশ্যে। তবে এই উদ্দেশ্য যে, শুধু অর্থনৈতিক তা কিন্তু নয় এখানে রয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলেরও সুযোগ। তবে অর্থনৈতিক উপার্জনের যে কমতি ছিল না তা কিন্তু জাতি দেখেছে বিগত কয়েক মাসের আইন শৃঙখলা বাহিনীর কার্যকর কর্মকান্ডের পরিসংখ্যানে।
আগষ্ট বেদনার এবং শোকের শোকাচ্ছন্নতা কাটিয়ে উঠার ও জাতির জন্য দিকদর্শন ঠিক করার। সেই আগষ্টেই আবার এবার যুক্ত হয়েছে করোনার ছোবল ও বন্যার ত্রাস। তাই এইবারের আগষ্টের তাৎপর্য খুবই গভীর। গতানুগতিকভাবে এই আগষ্টকে চিন্তা করলে হবে না বরং আরো গভীর ও সবর্জনিন চিন্তা চেতনায় বিচার বিশ্লেষণ করা জরুরী। এই আগস্টে যেধরনের প্রচার প্রচারণায় মুখরিত হওয়ার কথা ছিল তা কিন্তু হয়নি বরং নেতিবাচক প্রচারণায় বেশী ছিল। যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যায় লাভবান কে হয়েছেন? ভারতের কাছে নালিশ, শেখ হাসিনাকে প্রকারান্তরে দোষি সার্বস্ত্য করার বিভিন্ন বক্তব্য। এই ধরণের নেতিবাচক বক্তব্য প্রচারকরা কিভাবে আইনের উদ্ধে থেকে এ ধরণের অন্যায় কাজ করে যাচ্ছেন তা বোধগম্য নয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, আইটি এক্সপার্টগণ কেন ঐ ওয়েব সাইট, ফেসবুক আইটি ও ইউটিউব প্রতিহত করতে ব্যার্থ হচ্ছেন? সরকারকে এই দিকটা বিশেষ মনযোগ দিয়ে তরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। শুধু কি তাই পর্ণ সাইটও এখন বিরাজমান থাকছে। কিভাবে এর ছোবল থেকে সমাজ সংস্কার করা যায় তার উপায়ও বের করা দরকার। যারা এই ভিডিওগুলি বানিয়ে আপলোড করছে সেই তাদেরকে আইনের আওতায় এনে এবং তাদের আইডিগুলোকে ব্লক বা বন্ধ করার ব্যবস্থা করলে জাতি উপকৃত হবে। তাই এই বিষয়েও তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। আমি নিম্নে অগনিত ঠিকানার মধ্যে থেকে কিছু উল্লেখ করছি আর বাকিগুলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব।
মিনা ফারাহ
শেখ হাসিনা কে দোষারোপ করে দেয়া প্রচারণা
https://www.facebook.com/watch/Minafarahusa/?__cft__[0]=AZXFKzYSLMEDvq6Pf8OdvYLOkYPwudrZzZlM8pS-cKVpXlpLOjD8eHDnGxW5KRQD7s-fimmdL6zpNJlQYBjvTuReTsI4jaOwUCKhOgJ_G8HSdbJURP_MlFe0veF2JagZOiND0ruceYyq2M9JwET8OzO6QoIDC71R25f5qMR1dxNS2dnTGVnt2ObQ1Zt-lwN_sGmc899DSnRHMnVL5xcdMkFh,
আসফিনজরুল
ভারতীয় জেনারেলকে পেয়ে গর্জে উঠলেন আসিফ নজরুল, জানালেন ভারত সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান
STAR TV
August 26 at 5:30 PM ·
ডা: কনক সারোয়ার ও মেজর দেলোয়ার হোসেন রাষ্ট্রদোহী বক্তব্য
সামনে মহা বিপদ অপেক্ষা করছে ভয়ঙ্কও কিছু বাস্তব
The Bangladesh Elec Express
July 15
ভারতের অনুমোদনেই নিয়োগ পান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান। ভয়ঙ্কর বিভ্রান্তিমূলক প্রচারনা
https://www.facebook.com/bangladeshexpress.official/videos/286853165993779
নোংরামি বন্ধ করার জন্য একটি খোজ করুন
করোনার বানিজ্যের সাথে সাথে এইসকল নোংরা আবর্জনাগুলোও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তাই এখনই এর যাত্রা থামাতে হবে এবং জাতিকে রক্ষা করতে হবে। এখন স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা নিষ্কর্ম অবস্থায় ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে এই নোংরামিতে তাদের ভঙ্গুর মেরুদন্ডকে ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে। একটু ভাবুন ও সময় দিন যাতে আগামী প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে। এমনিতেই করোনা করেছে শিক্ষার সর্বনাশ আর স্যোসাল মিডিয়া করেছে সামাজিক, পারিবারিক ও মূল্যবোধের সর্বনাশ। তাই এই সর্বনাশ থেকে বের করে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। তবে কোন উপায় অবলম্বন করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্কুলমুখী করার ব্যবস্থা করা যায় কি না তা বিবেচনায় আনা দরকার। যাতে শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে সময়কে কাজে লাগাতে পারে। নেতিবাচকতায় গ্যা ভাসিয়ে না দেয় সেই দিকে দৃষ্টি দিতে দায়িত্বশীলদের সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
করোনা করোনা করে আর যেন নিশেষ হওয়ার শেষ পেরেকটুকু না ঠুকি। শিক্ষার দরজা উন্মক্ত করি। করোনার টিকা নিয়ে যে বানিজ্যের মহারন তৈরী হচ্ছে সেই বানিজ্যের বাইরে থেকে জাতিকে ও দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানাচ্ছি। আমাদের কোন টিকার প্রয়োজন নেই। বরং আমাদের শিক্ষায় বিশ্ববাসি করোনা মোকাবেলায় মনোনিবেশ করুক সেই দৃষ্টান্তই বহমান থাকুক। স্যোসাল মিডিয়ার গুরুত্ব ও ভূমিকা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে ফিরে আসুক পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে এই বিশ্বাস ও ভরসা নিয়ে আগামীর কল্যাণে এগিয়ে যেতে চাই। জয় হউক আমাদের সকলের। আগষ্টে হারানো মনোবল ও চেতনা ফিরে আসুক বাঙ্গালীর মনে এবং জাগ্রত করুক জাতির বিবেবকে। প্রসারিত করুক উন্নয়ন ও অগ্রগতির দোয়ারকে।