ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ৩ লম্পটকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা খাড়েরা ইউনিয়নের গোলাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক কিশোরীর পিতা কুতুব উদ্দিন ৩ লম্পটকে আসামী করে কসবা থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ওই ৩ লম্পটকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার খাড়েরা গ্রামের জনৈক কুতুব উদ্দিন বসবাস করেন গোপিনাথপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে। গত ১২ সেপ্টেম্বর তার কিশোরী মেয়ে (১৪) বেড়াতে আসে খাড়েরায় ফুপুর বাড়িতে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় তার মেয়ে এবং ভাগ্নি (১৩) দুইজন পাশের মহল্লায় অন্য এক আত্মিয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তায় পথরোধ করে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি সহ খারাপ ভাষায় কুপ্রস্তাব দেয় ওই তিন লম্পট। প্রতিবাদ করলে দুই কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে জোরপুর্বক একটি সিএনজিতে করে গ্রামের পাশে একটি ফিসারির খালি ঘরে নিয়ে পড়নের কাপর ছিড়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণচেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এক কিশোরীর আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় তিন লম্পটকেও আটক করে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়রা দুই কিশোরীকে তাদের বাড়িতে পাঠায়। পুলিশ খবর পেয়ে গিয়ে তিন লম্পটকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উপজেলার শাহপুর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে শান্ত মিয়া (২৫), খাড়েরা গোলসার গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে মো.মহিউদ্দিন(২৫) ও সরাইল উপজেলার চুন্ডা গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে মো.ইউনুছ মিয়া (২৫)। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেনঃ খাড়েরার গোলাসার গ্রামে দুই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক কিশোরীর পিতার দায়ের করা মামলায় তিন লম্পটকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।