ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আরেক অভিযোগ

আন্তজার্তিক ডেক্স ॥  নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আবারও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সাবেক মডেল অ্যামি ডরিস অভিযোগ করেন, আজ থেকে ২৩ বছর আগে ইউএস ওপেন টেনিস টুর্নামেন্ট দেখতে গিয়ে ট্রাম্পের যৌন হেনস্থার শিকার হন তিনি। অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরের মতোই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময়েও মার্কিন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসসহ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন। এ নিয়ে মামলাও হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনের আগেও তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠলো।

প্রসঙ্গত, ৪৮ বছর বয়সী ডরিস থাকেন ফ্লোরিডায়। দুই যমজ কন্যার এই মা’র দাবি: ২০১৬ সালে যখন অন্য আরও অনেক নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, তখনই তিনি এ ঘটনার কথা বলতে চেয়েছিলেন। তবে, পরিবারের ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে তখন সে সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন তিনি।

গত  বৃহস্পতিবার গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডরিস বলেছেন, ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে ইউএস ওপেন টুর্নামেন্ট চলাকালে ট্রাম্প ভিআইপি বক্সের বাথরুমের বাইরে তাকে যৌন হয়রানি করেন। তখন ডরিস ছিলেন ২৪ বছরের তরুণী। ট্রাম্প তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে জোর করে চুম্বন করেছিলেন, সারা শরীর স্পর্শ করেছিলেন। ।

ওই দিনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ট্রাম্পকে তিনি চেঁচিয়ে সরে যেতে বলেছিলেন, থামতে বলেছিলেন। কিন্তু, ট্রাম্প তার ওপর জোর খাটিয়েই যাচ্ছিলেন। ডরিসের অভিযোগ, তাকে এমনভাবে জাপটে ধরা হয়েছিল যে অনেক চেষ্টা করেও ছাড়ানো যাচ্ছিল না। তার দাবি, এত বছর পরও সেই ঘটনা ভুলতে পারেননি এবং রীতিমতো ‘অসুস্থ’ ও ‘নিপীড়িত’ বোধ করেন।

ডরিস আরও বলেন, আপনি যে-ই হোন না কেন, কেউ যখন বলে ‘না’ তার মানে ‘না’। কিন্তু তার ক্ষেত্রে ‘না’ বলে কাজ হয়নি, ট্রাম্প কোনো কিছুর তোয়াক্কাই করেননি। ট্রাম্প এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ডরিস তার দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে ইউএস ওপেনের ওই দিনের টিকিট এবং ট্রাম্পের সঙ্গে তোলা ছয়টি ছবি দ্য গার্ডিয়ানকে দেখিয়েছেন।

এত বছর পর কেন এই ঘটনা সামনে আনলেন; এমন প্রশ্নের উত্তরে ডরিস বলেন, তার দুই মেয়ের বয়স ১৩ হতে চলেছে। তাদের সঙ্গে যেন এমনটা না হয়, তিনি তা নিশ্চিত করতে চান। তার মেয়েরা জানুক – অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের মা চুপ থাকেননি, মুখ খুলেছেন। ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের জবরদস্তির ব্যাপারে তার মেয়েরা যেনো সোচ্চার থাকতে পারে – সেই আকাঙ্ক্ষা থেকেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.