করোনার প্রকোপ কাটিয়ে উঠার পরও মানুষের মনে একটি চিন্তা থেকেই যচ্ছে। মানুষ করোনাকে জয় করলেও বিশ্বব্যবস্থার কারনে অতিমাত্রার সচেতনতার কারনে ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে বেড় হতে হিমশীম খাচ্ছে। তবে করোনাকে পরাজিত করার দৃঢ় মনোবল ও শক্তি, সাহস এবং সকল উপকরণ মওজুত রয়েছে এই বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে। বঙ্গবন্ধুর সেই কালজ্বয়ী ভাসনের পুনরাবৃত্তি “তোমরা ঘরে ঘরে দুর্ঘ ঘড়ে তোল।” হ্যা সেই দুর্গ এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে করোনাকে মোকাবিলা করার জন্য আর সেই দুর্ঘের জয় হয়েছেও বটে। তবে সেই জ্বয়ে আশান্বিত হতে পারেনি আমাদের কিছু কিছু মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রীমহোদয়গন। জনগণের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখা এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সচল করা জরুরী। যেখানে সবকিছুই সচল সেখানে কেন শিক্ষা ব্যবস্থা অচল। ছেলে মেয়েদের নিয়মানুবর্তিতা শিখার জায়গায় কেন এর বাইরে রাখা হচ্ছে। কেন শিখতে দেয়া হচ্ছেনা ভাল-মন্দ ও সচেতনতা এমনকি সুরক্ষার চর্চা।
বিভিন্ন কারণে বিশ্ব আজ ডর চালানে ব্যস্ত। তবে তাদের ব্যবসায়ীক স্বার্থ এবং একঘরে আবেগ বিবর্জিত কাজে জড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আমাদের দেশে কাম্য নয়। আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাও উন্নত। কারণ করোনাকে মোকাবেলা করে বিশ্বকে দেখিয়েছে এবং শিখিয়েছে খুব অল্প সময়েই। প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক এমনকি সোসাল মিডিয়ায় ইতিবাচক সকল প্রচার ও করোনা জয়ের ঘরোয়া কাহিনী প্রচার ও প্রকাশ করা জরুরী। কিন্তু বাস্তবে ইতিবাচকতার মাধ্যমে নেতিবাচকতার ভয়াভহতাই বেশী প্রচারীত হচ্ছে। পাশাপাশি পন্য বিক্রির সুকৌশলী চটকদার বিজ্ঞাপনও প্রচারিত হচ্চে। এর থেকে বের হওয়া অতিব জরুরী। যা সময়ের দাবী হিসেবে অনেক আগেই প্রকাশ হয়েছিল।
উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কাজটুকুই করে গেছেন আমাদের জাতির পিতা। তিনি জাতিসংঘে বাংলায় ভাষন দিয়েছেন আর দিয়েছেন বলেই আজ বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা ও অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন এবং পথ দেখিয়েছেন আগামীর পথ চলায়। কিন্তু আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই শিখানো ও দেখানো পথ থেকে পিছিয়ে পড়ছি। তাই সময় থাকতে সময়কে কাজে লাগাতে তৎপর হওয়া জরুরী। শীতের প্রকোপে করোনার ছোবল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অমুলক নয় তবে হতাশ বা চিন্তিত হওয়ারও কোন কারণ নেই। যা যা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা তা নেয়া হউক এবং জনগণকে স্বাধীনভাবে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে সহায়তা করা হউক। তাহলেই আগাম ভিতির অবসান হবে।
বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সাথে অতিরিক্ত মুনাফালোভীদের চিহ্নিত করার সময় এখন এবং সেই সাথে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে জাতির আগামী পরিচ্ছন্ন করার দাবি রাখছি। ধর্ম ব্যবসা, শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবসা, খাদ্য সামগ্রীর ব্যবসা, ঔষধ ব্যবসা সহ যাবতীয় কল্যানকামী ব্যবসাকে অকল্যানে এমনকি জনদুর্ভূগে পরিণতকারীদের বিরুদ্ধে গ্রহনযোগ্য ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া অতিব জরুরী। সরকার যেভাবে দুর্নীতিবাজদের আটক করে বিচারের আওতায় এনে দাঁড় করাচ্ছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতিটি সেক্টরেই এর গতিময়তা প্রবাহমান রাখতে হবে। এটাই সরকারের অনেক সাফল্যের মধ্যে একটি সাফল্য। মুল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে মুল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে মূল্যবোধের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। তবে খোদায়ী মুল্যবোধ পুন:প্রতিষ্ঠাকল্পে এখনই পদক্ষেপ নেয়ার উপযুক্ত সময়। নতুবা আরো গভীর অন্ধকার আমাদেরকে ঘ্রাস করতে দ্রুতলয়ে এগিয়ে আসছে।
দলীয় সম্প্রতি আরো বিস্তার লাভ করাতে হবে। দলীয় বিপদগ্রস্থদের দায়মুক্তি দিতে হবে। মামলা-হামলা, অর্থনৈতিক মুক্তি এমনকি উপযুক্ত যোগানে সামনে এগিয়ে নেয়ার ভুমিকা প্রকাশ করে যতœশীল আচরণের চর্চা দৃশ্যমান রাখতে হবে। করোনাবন্ধব সকল পরিকল্পনা এবং পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে এর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। বিশ্বকে করোনা মোকাবিলার মনোবল এবং টোটকা দিয়ে সহায়তা করতে হবে। আমরা পারি, পেরেছি; তাই বিশ্বকে করোনামুক্ত করার দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এমনকি করোনামুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বের দুরদর্শীতা এবং স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি করতে হবে।
করোনাকালীন সময়ে ভ্যাট কর্মকর্তাদের দৌরাত্ব সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। ভ্যাট এবং ট্যাক্স এর ক্ষেত্রগুলোকে জঞ্জালমুক্ত রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই কালজ্বয়ী ভাষণ বাস্তবে দৃশ্যমান রাখতে হবে। “আমার কৃষক দুর্নীতি করে না, আমার শ্রমিক দুর্নিতি করে না, খেটে খাওয়া মানুষ দুর্নিতী করে না; বরং দুর্নীতি করে শিক্ষীত এবং ক্ষমতার শির্ষে বহমানরাই” তাই এবার থেকে এই জন্মলগ্নের অপবাদ ঘুছানোর সময়। তাই চারিত্রিক অবক্ষয় কাটিয়ে উঠার একমাত্র উপায় হলো মুল্যবোধ এবং স্ব স্ব ধর্মের শিক্ষা। তাই এই প্রচলিত শিক্ষায় যুক্ত করতে হবে খোদায়ী মুল্যবোধের শিক্ষা এবং প্রতিটি সেক্টরেই ভ্যালুজ বা মুল্যবোধের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষীত করে সমাজ ও দেশ থেকে ঐ অপবাদ দুর করে নিশ্চিত আগামীর সু-উচ্চ গন্তব্য সুনিশ্চিত করতে হবে। করোনায় যাদের মন পরিবর্তন হয়নি তাদের মন পরিবর্তনে নতুন কৌশল আবিস্কার করে কাজ করতে হবে। করোনা বান্ধব অবস্থা থেকে বের হয়ে এসে আগামীর বিশ্বকে পথ দেখাতে এবং গতিশীল করতে দায়িত্ব নিতে হবে।