ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় প্রতিবেশীর ঝগড়া থামাতে যাওয়ায় লাঠির আঘাতে প্রাণ কেড়ে নিলো নারগিছ আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুর। গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সাতগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারগীছ আক্তার ওই গ্রামের দরিদ্র ইজিবাইক চালক স্বপন মিয়ার স্ত্রী ও পাশ্ববর্তী শিকারপুর গ্রামের ছিবিল মিয়ার মেয়ে। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনা পরিবারে চলছে শোকের মাতম।নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি সাতগ্রামের ঘাতক রাজু মিয়া (২৮) তার পরিবার ও ঝগড়ায় জড়ায় রাজুর চাচা নুরু মিয়ার সাথে। পাশের বাড়ীর বাসিন্দা হওয়ায় দুই সন্তানের জননী নারগীছ আক্তার যায় তাদের ঝগড়া থামাতে। আর এটাই কাল হলো গৃহবধু নারগীছ আক্তারের । ঝগড়া থামাতে কেন আসলো ক্ষিপ্ত হয়ে ঘাতক রাজু মিয়ার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সজোরে মাথার পিছনে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে নারগীছ আক্তার। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তন্তর বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থিত একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করলে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় নারগীছ আক্তারের। লাশ নিয়ে বাড়িতে আসলে ক্ষিপ্ত রাজু মিয়া নিহতের বাড়িতে এসে পুনরায় নিহতের স্বামী স্বপন মিয়াকেও মারধোর করে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা গিয়ে থানায় খবর দিলে সন্ধ্যায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহত নারগীছ আক্তারের মা সায়েরা বেগম বাদী হয়ে ৩ জন সহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন । কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন; ঝগড়া থামাতে যাওয়ায় নারগীছ আক্তার নামে এক গৃহবধুকে মেরে ফেলার অভিযোগ নিহতের মা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post