ভুয়া সনদে ৮ বছর চাকরি করলেন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী, তদন্তের নির্দেশ

প্রশান্তি ডেক্স ॥ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জাল ও ভুয়া নিবন্ধন সনদ দিয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে স্ত্রী শাহিদা খাতুনকে নিয়োগে সহযোগিতা করেছেন প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন। নিয়োগের পর ৮ বছর ৪ মাস চাকরি করেছেন। এরপর অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীর শিক্ষক সনদ জাল। এই অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত  মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিষয়টি তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে অভিযোগের উল্লেখ করে বলা হয়, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. শাহিদা খাতুন ভুয়া শিক্ষক সনদে চাকরি নিয়েছেন। তার স্বামী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন তাকে অনৈতিক নিয়োগে সহযোগিতা করেছেন। মোছা. শাহিদা খাতুন তার জাল ও ভুয়া নিবন্ধন সনদে ৮ বছর ৪ মাস চাকরি করেছেন।

এমতাবস্থায় অভিযোগের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের একজন পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০১১ সালের ১ আগস্ট ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মোছা. শাহিদা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগকৃত শিক্ষকের স্নাতক, বিএড ও শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল ও ভুয়ার বিষয়টি গোপন করে এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ২০১২ সালে এমপিও ভুক্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি আকতার হোসেন গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর নিবন্ধন যাচাইয়ের জন্য আবেদন করেন। গত ২০ জানুয়ারি এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক (গমূপ্র-১) মো. মোস্তাক আহমেদ স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়, মোছা. শাহিদা খাতুন, পিতা- মো. এন্তাজ আলী মন্ডল, রোল-৩০৭১১৫৪৭, রেজিস্ট্রেশন ও সন ৯০০৩৩৮৭৯/২০০৯, পরীক্ষা নং- ৫ম, রেজিস্ট্রি পরীক্ষা-২০০৯ সহকারী শিক্ষক, সমাজ বিজ্ঞানের নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয়। উত্তীর্ণ রোল নম্বরটি অন্য ব্যক্তির (মোছা. সুলতানা খাতুন, পিতা- রবিউল ইসলামের)। শুধু তাই নয়, পত্রে উক্ত জাল ও ভুয়া সনদধারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে মামলা দায়ের পূর্বক অত্র অফিসকে জানাতে বলা হয়।

অভিযোগপত্রে, স্নাতক ও বিএড সার্টিফিকেটও জাল দাবি করা হয়েছে। যা দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.