প্রশান্তি ডেক্স ॥ ব্যবসায়ীরা ভালো থাকলে ব্যাংকগুলোও ভালো থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, গত বছর প্রত্যেকটি ব্যাংকই ভালো করেছে, তাদেরকে ধন্যবাদ। প্রত্যেকের ব্যালেন্স সিট অনেক ভালো। খেলাপি ঋণের পরিমাণও কমের দিকে। আমি মনে করি যে, এটাই সময় তাদের ক্লায়েন্টদের সাহায্য করার জন্য। ক্লায়েন্ট কোনোভাবে উপকৃত হলে দিনের শেষে লাভবান হবে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক তো ক্লাসিফাইড করে তাদের কোনো কষ্ট দিচ্ছে না। সুতরাং তাদের ব্যবসায় প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই।
গত বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলেনে তিনি একথা বলেন।
ঋণ খেলাপিদের আরেক দফা সুবিধা দেওয়ার সমালোচনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, কারও ঋণ তো মাফ করা হয়নি, কিস্তি পরিশোধের সময় বাড়ানো হয়েছে মাত্র। এটা করোনার জন্যই বাড়ানো হয়েছে। টাকা তো মাফ করে দিইনি। টাকা আমরা পাব। কিন্তু সময় বাড়িয়ে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, বিষয়টি শুধু আয় নয়, অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করে করা হয়েছে। এখন কোনো না কোনোভাবে কিছু হলে কেউ না কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কিন্তু আমরা এখন বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে আছি। আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা যদি ভালো থাকে ব্যাংকগুলোও ভালো থাকবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকরণে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মহামারীর প্রকোপ দীর্ঘায়িত হওয়ায় তা আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। ঋণ খেলাপিদের তৃতীয় দফা সময় দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন অনেকে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সময় না বাড়িয়ে এ সময় যদি আমরা বাধা সৃষ্টি করি, তাহলে এক্সপোর্ট অর্ডারগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না। আমরা আমদানি করছি এখনও এলসিগুলোর নিষ্পত্তি করতে পারব না। যেই মুহূর্তে লোনটি ক্লাসিফাইড হয়ে যাবে, সেই মুহূর্তে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এই মুহূর্তে আমরা মনে হয় এটা করা ঠিক হবে না।