জেএমআই’র চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক পাঁচ দিনের রিমান্ডে

প্রশান্তি ডেক্স ॥  নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জেএমআই’র চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত  মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টম্বর) তাকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির দুদক। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে গত  মঙ্গলবারই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদা মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) সাবেক উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. শাহজাহান, ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক ও সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার কবির আহমেদ ও জ্যেষ্ঠ স্টোর কিপার মো. ইউসুফ ফকির।

কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ২০ হাজার নকল এন-৯৫ মাস্ক আসল দেখিয়ে ১০টি হাসপাতালে সরবরাহ করার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক, সিএমএসডির সাবেক উপ-পরিচালক ও কক্সবাজার মেডিক্যালের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন খানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

ওই নোটিশে দুদক জানিয়েছিল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয় ও বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

নোটিশে আরো বলা হয়েছিল, একে অন্যের যোগসাজশে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন।

গত ১০ জুন থেকে দুদক করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

মাস্ক-পিপিই কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ১২ ও ১৩ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এছাড়া, মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে এর আগে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সিএমএসডির ছয় কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.