প্রশান্তি ডেক্স ॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের উন্নয়ন হলে রাষ্ট্রের চার মূলনীতি সুপ্রতিষ্ঠিত হবে, রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে, গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা হবে। তিনি বলেন, অবকাঠামো নির্মাণ করাই বিচার বিভাগের শেষ দায়িত্ব নয়। জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে পারলেই আসল সম্মান পাওয়া যাবে। সে জন্য বিচার বিভাগের সবাইকে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীতে চারতলাবিশিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ রোখসানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন আসনের এমপি, মো. শাহজাহান মিয়া, আ স ম ফিরোজ, এস এম শাহজাদা ও মহিববুর রহমান, কাজী কানিজ সুলতানা, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মইনুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা।
আইনমন্ত্রী বলেন, সব নাগরিকের জন্য মৌলিক ও মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কারণ আইনের শাসনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে আইনের প্রয়োগ ও কার্যকারিতা। যে সমাজে আইনের শাসন নেই, সেখানে আইনের মর্যাদা লুণ্ঠিত। আইন মানুষকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনই মর্যাদাবান ও পরিশীলিত করে। আইন যেখানে অচল, মানবাধিকার সেখানে ভূলুণ্ঠিত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্যেই নিহিত রয়েছে সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশ।
তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে বিচার বিভাগের মানোন্নয়ন জড়িত। আইনমন্ত্রী বলেন, আজ চারতলা ভবন উদ্বোধনের ফলে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হবে। তিনি জানান, এটাকে আটতলা করা হবে এবং আগামী বছরই অবশিষ্ট চারতলার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তখন দুর্ভোগ পুরোপুরি কেটে যাবে।
তিনি বলেন, এই আদালত ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্য তখনই সফল হবে, যখন বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই স্ব-স্ব দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।