প্রশান্তি ডেক্স ॥ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ব্যাপকভাবে বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং সকল প্রকার দূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে টেকসই পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছে সরকার । তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মন্ত্রী জানান, ক্লাইমেট ভালনারাবিলিটি ফোরাম ও গ্লোবাল সেন্টার অব এডাপটেশন এর ঢাকাস্থ আঞ্চলিক অফিস কাজ শুরু করায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে পারবে।
গত (২১ অক্টোবর) বুধবার বিকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এর সাথে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার সেন্ডসান এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে পরিবেশ, বন ও

জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম রফিক আহাম্মাদ বক্তব্য রাখেন ।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে পরিবেশগত অনেক মিল আছে, উভয় দেশই সমুদ্রের পাড়ে অবস্থিত। সেজন্য দুদেশের সমুদ্র নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। তিনি বলেন, নরওয়ের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। নরওয়ে এখন ব্যবসায় ও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।
আলোচনাকালে তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করা সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়োগ্যাসসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এসময় সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।