ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় ধর্ষিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অভিযোগ উপজেলার বিশারাবাড়ীর গ্রাম্য সর্দার হেবজু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে কসবা থানায়। গত শনিবার ২৪ অক্টোবর রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে ধর্ষিতার বাবা এই অভিযোগ দায়ের করেন। কসবা থানা অভিযোগ নং-১০৭৪। প্রকাশ; উপজেলার বিশারবাড়ী মসজিদের ইমাম ওবায়দুল হক (৫০) এর নিকট এক মাদরাসা ছাত্রীকে কোরআন শিখতে দিলে সে বিভিন্ন কৌশলে কুফুরী করে তার বাবা মাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তসত্ত্বা হলে ইমাম তাকে ফুসলিয়ে গর্ভপাতের ঔষধ খাওয়ায়। এতে তার মৃত বাচ্চা প্রসব হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মসজিদের ইমামকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে হেবজু মিয়া সর্দার সহ কয়েকজন সর্দার। ঘটনার
পর হেবজু সর্দারের নেতৃত্বে সালিশের মাধ্যমে সমাজচ্যুত করে একঘরে করা হয় ধর্ষিতার পরিবারকে। ধর্ষিতার বাবা এ ঘটনায় কসবা থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নামে কালক্ষেপন করায় ধর্ষিতার বাবা ন্যায় বিচারের আশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে আদালত পিবিআইকে সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশনা দেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান বলে প্রতিবেদককে জানান পিবিআই পুলিশ সুপার মো.সাখাওয়াত হোসেন। এদিকে ধর্ষক ওবায়দুল্লাহকে গ্রেপ্তারসহ ও ধর্ষিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার নির্দেশদাতাকে গ্রেপ্তারের দাবীতে কসবা সচেতন নাগরীক সমাজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা পরিষদ মানববন্ধন করে এবং পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন । বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি স¦াতী চৌধূরী সাংবাদিকদের জানান; ধর্ষিতার সকল প্রকার দায়িত্ব নিয়েছেন মহিলা পরিষদ। তিনি আরো বলেন ধর্ষিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অধিকার কেউ রাখেনা। এটা সম্পুর্ন সংবিধান বিরোধী। তাই সমাজচ্যুত করার নির্দেশদাতাকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান; বিশারাবাড়ীর ধর্ষণ ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবারকে সমাজচ্যুত করার বিষয়ে হেবজু সর্দারের নামে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতার বাবা। আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।