দৈনন্দিন সচেতনতা এখন খুবই জরুরী। আজ এবং আগামীকালের হিসেব নিকেশ মিলাতে গিয়ে দৈনিক সচেতনতার আভির্ভাব ঘটেছে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সংমিশ্রনে দৈনিক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা খুবই জরুরী। বাস্তবতার নিরীখে এই উপলব্দি এবং উপলব্দি থেকে গভেষনা এবং এর ফলাফল আজ দৈনিক সচেতনতার প্রয়োজনীতা গুরুত্ববহ হয়ে প্রকাশ ঘটেছে। যুগের প্রয়োজনে মানুষ নতুন নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করেছে; যেমন এই পদ্ধতিগুলো ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয়ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বৈশ্বিক চাহিদার যোগানেও এখন দৈনন্দিন সচেতনতা বিরাজমান রয়েছে। আমাদের দৃষ্টিসীমার আড়ালেও এখন দৈনন্দিক সচেতনতা বিরাজমান রয়েছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এর অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আচরণে, কথা -বার্তায়, চিন্তা-চেতনায় এমনকি সকল ইতি ও নেতিবাচকতার দৃশ্যমানতায়ও দৈনন্দিন সচেতনতার অভাব অনুভব করা যাচ্ছে। সরকার এবং বিরোধী দলের মাঝেও আজ দৈনন্দিন সচেতনতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাধারন মানুষের কাজ কর্মে এবং চিন্তা চেতনায়ও আজ দৈনন্দিন সচেতনতার অভাব ইতি ও নেতিবাচক উভয় রুপেই প্রকাশীত হয়েছে। সদ্য সমাপ্তের পথে বিশ্ব মোড়লদের সর্দার হিসেবে পরিচিত আমেরীকায় আজ কি ঘটছে, কি বকছে, আর কিসের প্রয়োজনে উম্মাদ আচরণে হাসির পাত্রে পরিণত হয়ে বিনোদন বা হাসির খোরক হচ্ছে। সবই চিরচেনা দৈনন্দিন সচেতনতার অভাবে। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে নানান ধরণের অসচেতনতার প্রমান স্বাক্ষ হিসেবে দৃশ্যমান রাখছে। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারলে সবই ভাল এবং প্রশংসার যোগ্য হিসেবে ঘোষিত হচ্ছে অবার অপরদিকে ঐ বৈতরনী পার হতে না পারলে মামলা ও হামলা পর্যন্ত হচ্ছে। তবে অস্বীকার, প্রত্যাহার, বয়কট এমনকি নতুন আরো কোন অলংকৃত শব্দের উৎপত্তি হয়ে নব আবিস্কারে পরিণত হয়েছে এমনকি ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। কেন হচ্ছে এমন; কিইবা এর কারণ; সবই হল দৈনন্দিন সচেতনতার অভাবে। সারা পৃথিবীই যেন আজ দৈনন্দিন সচেতনতাকে হারিয়ে হতবিহবল হয়ে পড়েছে।
খুন, ধর্ষণ, ঘুষ, লোভ সবই কিন্তু ঐ দৈনন্দিন সচেতনতার অভাবের ফল। যদি আমরা সচেতন হতে পারি তাহলে ঐসকল সমাজ, সংস্কৃতি, রাষ্ট্র, সর্বোপরি জীবন ব্যবস্থাকে ঘ্রাস করতে পারতো না। কিন্তু কেন আজ আমরা অসেচতন? এটা কি একটি বিমার, অথবা নেতিবাচক চর্চার ফসল? আর তাই যদি হয় তাহলে এই চর্চা কখন এবং কোথা থেকে শুরু হয়েছিল? আসুন আমরা আমাদের জীবন কর্ম এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক এমনকি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ঐ দৈনন্দিন সচেতনতাকে আনয়ন করি এবং এর চর্চা অব্যাহত রাখি এমনকি জাগ্রত বিবেকে প্রয়োগে সচেষ্ট থাকি। সৃষ্টিকর্তাকে এই দৈনন্দিন সচেতনতার কাজে প্রধান্য দিয়ে সাহায্যের প্রার্থনা করি। তিনিই আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান ও বুদ্ধি এবং উপযুক্ত চেতনা দিয়ে সহায়তা করবেন।
উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও দৈনন্দিন সচেতনতার প্রয়োগ কোন কোন সময় অনুপস্থিত। অফিস-আদালতে এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও দৈনন্দিন সচেতনতার বড়ই অভাব। তাই সময় এসেছে এখন এই সচেতনতাকে দৃষ্টিনন্দনভাবে জাগ্রত করে প্রয়োগের বাস্তবরূপ দৃশ্যমান রাখার। কর্মে, চিন্তায়, পরিকল্পনায় এবং সম্মুখ সমরেও এই দৈনন্দিন সচেতনতাকে অগ্রজে রেখে অগ্রগামী হউন। সমাজ বিনির্মানে আজ সচেতনতার বড়ই অভাব; তাই দৈনন্দিন সচেতনতাকে আকঁড়ে ধরে সামনে এগুনোর এখনই সময়; সময় ও সুযোগকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনে দৈনন্দিন সচেতনতাকে প্রাধান্য দিয়ে কর্ম সম্পাদন করুন। সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় বুঝে অগ্রসর হওয়ার তরেও দৈনন্দিন সচেতনতাকে কাজে লাগানোর সকল ব্যবস্থা উন্মুক্ত করুন।
মানবতার মানদন্ডেও দৈনন্দিন সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। তাই আর্ত¦ মানবতার ইতিবাচক সম্প্রসারণ এখন দৈনন্দিন সচেতনতার মানদন্ডে ব্যবহার প্রয়োজনীয়তায় পর্যবসীত হয়েছে। তাই এই দৈনন্দিন সচেতনতার মানদন্ডের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান পৃথিবীর নৈরাজ্যময় পরিস্থিতিতে বা করোনার ছোবলে পতিত পৃথিবীকে উদ্ধার করার লক্ষ্যে দৈনন্দিন সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তাই আসুন দৈনন্দিন সচেতনতায় পর্দাপন করি এবং আগামীর বিশ্বকে শান্তিতে ভরিয়ে তুলি। পরিবার, সমাজ, সংস্কৃতি, সরকার ও রাষ্টের মধ্যে দৈনন্দিন সচেতনতার সমন্বয়কে আরো সমৃদ্ধ করে অগ্রসর হই তাহলেই আমাদের সকল জঞ্চাল ঘুছানো সম্ভব হবে এবং দৈনন্দিন সচেতনতার চর্চায় মনোনিবেশ করা হবে। এতেই রক্ষা পাবে পৃথিবীর সকল পরিবার এবং সৃষ্টিকুলের সেরা আশরাফুল মাখলুকাত।
অহৎকার ও দাম্বিকতায় নিমজ্জ্বিতরা এখন কুল-কিনারার আশায় হাতরাচ্ছে। কিন্তু এই দিশা বা কুল কিনারা পেতে হলে অবশ্যই দৈনন্দিন সচেতনতার প্রয়োজন। আর এর জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন নিজেকে সৃষ্টিকর্তার নিকট সমর্পন করানো এবং তারপরে তৌবা করে সকল গুনাহ স্বীকার করে প্রয়োজনীয় উপকরন ও উপাদান যাচনা করা। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সবই দিবেন এবং তা ভালবেসে দিবেন। তই দৈনন্দিন সচেতনতার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আসুন এবং তার আশির্বাদ ও জ্ঞান নিয়ে আগামীর সকল কাজে ঝাপিয়ে পড়ুন। জয় আমাদের সুনিশ্চিত। বেহেস্তের সকল কিছুই অধির আগ্রহে আমাদের জন্য বসে আছে। আমরাও প্রস্তুত ঐ অমৃত ও শান্তির অমীয় বানী শুনে ও দেখে এমনকি উপভোগ করে ধন্য হতে প্রস্তুতি নিন। আগামীতে আরো কোন নতুন বিষয় নিয়ে আসব আপনাদের স্বানে।