প্রশান্তি ডেক্স ॥ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শকের স্বাক্ষর করা অফিস আদেশে এই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়।
স্কুলটিতে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগের জন্য ‘জামানত’ হিসেবে রইচ উদ্দিন (২৮) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবকের কাছ থেকে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। তবুও তার চাকরি স্থায়ী হয়নি। উল্টো ম্যানেজিং কমিটি তার কাছ থেকে আরও সাত লাখ টাকা দাবি করেছিল। এ টাকা না দেওয়ায় তাকে অস্থায়ী চাকরি থেকেই অব্যাহতি দিয়েছিল ম্যানেজিং কমিটি। এরপর কমিটি জালিয়াতি করে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার তোড়জোড় চলছিল। এ নিয়ে গত ৫ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন রইচ। এতে স্কুল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী সরদার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহাম্মদ আলীসহ অন্য সদস্যদের বিবাদী করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির ছয়জন সদস্য পদত্যাগ করেন। তারা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন বোর্ড চেয়ারম্যান। স্কুলটিতে এবার দ্রুত এডহক কমিটি গঠনের জন্য প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে অনুমতি চাইতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রইচ উদ্দিনের বাবাও স্কুলটির নৈশপ্রহরী ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে সেই পদে তাকে অস্থায়ীভাবে চাকরিতে নেওয়া হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী সরদার স্কুলের প্যাডে দেওয়া একটি অঙ্গীকারনামায় ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ রইচের কাছ থেকে নগদ তিন লাখ ২০ হাজার টাকা নেন।
অঙ্গীকারনামায় লেখা আছে, ‘রইচকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করা হলো। তার কাছ থেকে ‘জামানত স্বরুপ’ তিন লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়া হলো। রইচের চাকরি স্থায়ী করা না হলে সম্পূর্ণ টাকা একসঙ্গে নগদে ফেরত দেওয়া হবে।’ কিন্তু তার চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। এতে বিপাকে পড়েছেন এই প্রতিবন্ধী যুবক।