প্রশান্তি ডেক্স ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দৃষ্টি আকর্ষণের গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বাস পোড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এর জন্য তিনি সরকারকে দায়ী করেছেন।
গত শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ তুলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল বাস পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সেটির গোপন রহস্য হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর জো বাইডেন সবাইকে কল দিয়ে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। কিন্তু বর্তমান সরকার শেখ হাসিনাকে একবারও কল দেননি। তাই তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার বাস পোড়ানো হয়েছে। তিনি (হাসিনা) বোঝাতে চেয়েছেন, এ দেশে সন্ত্রাস আছে। এ সন্ত্রাস দমন করতে হলে তাকে দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এভাবে আর বেশি দিন যাবে না। এর অবসান আসবেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে সাংবাদিক। তারা সব তথ্য তুলে ধরেন। আজ ওখানে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তিনি সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছেন। যত বেশি সাংবাদিকদের কথা বলতে দেবেন তত বেশি গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য পাবে।‘
তিনি আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক দাঙ্গা, বাড়ি পোড়ানোর মতো ঘটনা গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। সংখ্যালঘু কয়েকজন নেতা আলেমদের বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়েছেন। এটা অবশ্যই সরকারকে খতিয়ে দেখা উচিত।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র কবরে শায়িত। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি আল্লাহু আকবার বলে এটা (গণতন্ত্র) মাটি চাপা দেবো? নাকি হরিবোল বলে আগুনে পোড়াবো? এই গণতন্ত্র মুক্তির একটাই পথ আছে। তা হলো সম্মিলিতভাবে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। সরকারের এই দিন সব সময় থাকবে না।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার করা হচ্ছে তারপরও কিভাবে তারা সয়ে যাচ্ছে? এত নেতাকর্মীদের জামিন দেয় কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে দেয় না। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়।’
নাগরিক সমাবেশে নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন প্রমুখ।