বা আ ॥ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহারে বাংলাদেশের যুব সমাজকে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী যুব উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে এ কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
গত বুধবার (১৮ নভেম্বর) ‘গ্লোবাল ইয়ং লিডার সামিট-২০২০’ এ অনলাইনে যুক্ত হয়ে কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসময় তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহারে বাংলাদেশের যুব সমাজকে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আইসিটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নত ডিজিটাল ল্যাব চালু রয়েছে। ’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার দেশে ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অব ফিউচার এবং সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। এসব কার্যক্রম মানবসম্পদ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে ছয় লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। ফ্রিল্যান্সিং শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। ’
করোনা ভাইরাস মহামারি কালেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখে চলতি বছরের জুনে ৫ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি ৩৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মহামারি চলাকালীনও আইসিটি বিভাগ প্রায় ৫০ হাজার যুবক এবং নারীর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির, ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার মার্কিন ডলার আয় করে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি এবং উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করা। ’
অনুষ্ঠানে হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুশিয়ন্ত চৌতলা, এফআইসিসিআই ইয়ং লিডারস ফোরামের কো-চেয়ার-সহ অন্যরা আলোচনায় অংশ নেন।