প্রশান্তি ডেক্স ॥ মজার মজার অনুষ্ঠান আর সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে ঢাকার ধামরাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে একতা সংঘের বার্ষিক বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপজেলা সদরের অদূরে মহিষাশীতে মোহাম্মদীয়া গার্ডেনে গত বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে সারাদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রায় ৫০০ সদস্য অংশ নেন।
রৌদ্রজ্বল সকালে নিরিবিলি এ রিসোর্ট ধীরে ধীরে হয়ে যায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ। দিনের শুরুতেই সংক্ষিপ্ত সভায় অংশ নেন ঢাকা-২০ আসনের সাংসদ বেনজির আহমেদ। এসময় মাদকমুক্ত ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখায় একতা সংঘের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
একতা সংঘের সভাপতি মিলন কান্তি রায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, তরুণরা এগিয়ে আসলেই সমাজ এগিয়ে যাবে। ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া একতা সংঘ তরুণ সমৃদ্ধ এমনই এক সংগঠন। মিলন কান্তির নেতৃত্বে তারা সমাজ গঠনে কাজ করছেন। যা প্রকারান্তরে সরকারকেই সহযোগিতা করছে। সংগঠনের সকলকে ভবিষ্যতেও এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাবার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রবীন এই মুক্তিযোদ্ধা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ধামরাই পৌরসভার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মাসুদ খান লাল্টু, একতা সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো: মনোয়ার হোসেন রুবেলসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সভা শেষে শুরু হয় দুপুরের খাবার। দেশীয় সবজির সঙ্গে ভাত নিয়ে ঘাসের মাঠে খেতে বসে যান আগতরা। পরিবেশন করা হয় সুস্বাদু সব খাবার। মৃদুমন্দ দখিনা সমীরণ দিনে যেনো এক টুকরো একান্নবর্তী পরিবার নেমে আসে পুরো মাঠ জুড়ে।
অবসর সময়ে অনেকে হ্রদের শীতল পানিতে সাঁতার কাটেন। কেউ কেউ মাছ শিকার করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র। র্যাফেল ড্রতে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এতে আয়োজকদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথম পুরস্কার এলইডি টিভি, হটপট, মোবাইল, আকর্ষণীয় কলম উপহার দেয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে উপহার তুলে দেন একতা সংঘের সভাপতি মিলন কান্তি রায় ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন রুবেলসহ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
অনুষ্ঠানে আগত সংবাদকর্মীরা বলেন, এমন একটি সফল আয়োজনের জন্য একতা সংঘের নেতারাসহ যে সব স্বেচ্ছাসেবীরা রাতদিন পরিশ্রম করে বনভোজনকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন তারা সবাই প্রশংসার দাবি রাখেন।