প্রশান্তি ডেক্স ॥ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে হেফাজতে ইসলামের বিরোধিতা রাজনৈতিক। এ ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান এখনো স্পষ্ট হয়নি।
ভাস্কর্য বিতর্কসহ সম্প্রতি উদ্ভূত নানা পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রাশেদ খান মেনন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, হেফাজতে ইসলামের ভাস্কর্যবিরোধিতা নিছক মূর্তি বনাম ভাস্কর্যের বিরোধিতা নয়; এটি মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে রচিত সংবিধানের বিরোধী।
একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হাসিলের জন্য হেফাজতে ইসলাম মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন রাশেদ খান মেনন।
ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মহামারির এই সময়ে কিছু ধর্মভিত্তিক দল বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে প্রকাশ্যে আস্ফালন শুরু করেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময়টিকে বেছে নিয়েছে।
ফজলে হোসেন বাদশা অভিযোগ করে বলেন, একই মহল বিমানবন্দরের সামনে লালন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে ন্যায়বিচারের প্রতীক ভাস্কর্য নিয়ে চূড়ান্ত বিরোধিতা করেছিল। সে সময়কার সরকার উভয় ক্ষেত্রে তাদের বিরোধিতাকে প্রশ্রয় দিয়ে ভাস্কর্য ইস্যু থেকে পিছিয়ে আসে। যার কারণে তারা আবার আস্ফালন দেখাচ্ছে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর যে ভাষণ শোনানো হয়েছে, তাতে তার ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র নিয়ে দেওয়া বক্তব্য কর্তন করা হয়েছে, যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
হেফাজতে ইসলামের অনেক ইস্যু সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সরকারের উচিত হবে নীতিগতভাবে তাদের অবস্থান ঘোষণা করা। আওয়ামী লীগও নীতিগতভাবে তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করায় তাদের নেতা-কর্মীরা ধোঁয়াশার মধ্যে পড়েছেন।