যেখানে খুশি মিছিল-মিটিং করবো, পারলে ঠেকান…সোহেল

প্রশান্তি ডেক্স ॥ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, এই সরকার অবৈধ সরকার এটা নিয়ে কারো মনে কোনো দ্বিধা নেই। আমরা যাকে অবৈধ সরকার বলছি, সেই অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রশাসনের অনুমতির জন্য বিএনপির মিছিল-মিটিং বসে থাকবে না। আগে হয়তো মিছিল কিছু কিছু জায়গায় হতো। সেই মিছিল-মিটিং এখন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে।

গত  বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দল নামের একটি সংগঠনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিব উন-নবী খান সোহেল বলেন, যেখানে খুশি, সেখানে বিএনপি মিছিল-মিটিং করবো, পারলে ঠেকাবেন। দেখি কতো মামলা আপনারা দিতে পারেন, আমরাও দেখতে চাই আপনাদের অস্ত্র থেকে কতো গুলি ছুটতে পারে। আমরা তা মোকাবেলা করার জন্য এবং ধারণ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি।

তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রশাসন নতুন নিয়ম করেছেন মিছিল-মিটিং করতে হলে উনাদের অনুমতি নিতে হবে। কার অনুমতি নিতে হবে? ওই পুলিশ যারা ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে সিল মেরেছে। অবৈধতার কাছে বৈধতার সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য কিন্তু আমরা বসে নেই। মিছিল-মিটিং করবো, করতে দিতে হবে, পারমিশন নিয়ে মিটিং-মিছিল করতে আমরা পারবো না।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আরো বলেন, আজকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। তারপরও উনার নামে মামলা দেয়া হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। মামলা দিলে দেন, কিন্তু এই সমস্ত অখ্যাত লোকদেরকে দিয়ে মামলা দেন কেন? সাহস থাকলে নিজেরা দেন, নিজেরা দিতে পারেন না। আপনাদের মামলাকে আমরা ভয় পাই না। স্বৈরতন্ত্রের মামলা বিপ্লবীদের গলার মালা। স্বৈরতন্ত্রের জেলখানা বিপ্লবীদের বিশ্ববিদ্যালয়। ওইসব আমরা ভয় পাই না, এসব ভয়ের আমাদের দেখাবেন না।

তিনি বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তন হবেই। পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয়, কিন্তু একটি জিনিস স্থায়ী সেটি হলো চেঞ্জ। অন্যের জন্য কবর খুঁড়লে, সেই কবরে নিজেকেই পড়তে হয়। আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে যারা উৎসাহিত আনন্দিত, মনে রাখবেন বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু কারাগারে দীর্ঘদিন থাকবেন না, অবশ্যই উনি বের হবেন। কিন্তু কারাগার রয়ে যাবে ওই কারাগারে কাদের যেতে হবে, কারা যাবেন। সেই কারাগারে ইতিহাস কিন্তু তা নির্ধারণ করে দিবে।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আপনি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চান, সাথে আওয়ামী লীগকে চান তাহলে কখনই এটি সম্ভব নয়। যেকোনো একটিকে বাঁচতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ যেখানে থাকবে, ধরে রাখবেন সেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা কোনোটাই থাকবে না। আর আপনি যদি শান্তি-শৃঙ্খলাকে চান, তাহলে সেখানে আওয়ামী লীগ থাকা চলবে না।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জীবনের এই পর্যায়ে এসে অন্যায়ভাবে কারগারে থাকতে হবে এর চেয়ে অন্যায় আর হয় না। উনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। যদিও আমরা জানতাম আদালতে এমন বিচারপতি বসিয়ে রাখা হয়েছে, যারা শুধু গায়ে মুজিব কোর্ট পরেন, না মনের ভিতর মুজিব কোট রাখে সব সময়। এই রকম বিচারপতিদের যে বিচারালয়, সেখানে আমাদের নেত্রী যে ন্যায় বিচার পাবেন না, সেই ধারণা আমাদের আগে থেকেই ছিলো। বিচার তো এখন বিচারালয়ে লেখা হয় না, বিচার লেখা হয় শেখ হাসিনার ড্রইংরুমে বসে। সেখানে আমাদের নেত্রী ন্যায় বিচার পাবেন না এটাই বাস্তবতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.