ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (১২ ডিসেম্বর)বিকেলে উপজেলা পৌর শহরের এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এ ঘটনায় পৌর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর জেলা ছাত্রদল কর্তৃক কসবা উপজেলা ছাত্রদল, কসবা পৌর ছাত্রদল ও কসবা টিআলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। ওই কমিটিতে শিমুল মিয়াকে আহ্বায়ক ও সাদ্দাম হোসেন হৃদয়কে সদস্য সচিব করে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি, এনামুল হক আপেলকে আহ্বায়ক ও বাবুল মিয়াকে সদস্য সচিব করে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি এবং মো.জুয়েল আহাম্মদকে আহ্বায়ক ও রফিকুল ইসলাম সজিবকে সদস্য সচিব করে কসবা টি আলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করে। কিন্তু পরবর্তীতে জেলা ছাত্রদল কমিটি এ কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করে অন্য আরেক্িট কমিটি ঘোষনা দেয় বলে জানা যায়। ওই কমিটিতে মো.সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও আরিফুল ইসলাম জুয়েলকে সদস্য সচিব ও সৈয়দাবাদ সরকারী আদর্শ কলেজের আহ্বায়ক রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদকে ও শরীফ খানকে সদস্য সচিব ঘোষনা করা হয়। এই দুই কমিটি নিয়ে সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান, নাছির হাজারী গ্রুপ এবং কবির আহাম্মদ গ্রুপের মধ্যে গতকাল বিকেলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে পুলিশের বাধার মুখে মুশফিকুর রহমান-হাজারী গ্রুপ উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও অপরদিকে কবির আহাম্মদের গ্রুপ আড়াইবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সভা করে।
কমিটি গঠন এবং বহিস্কারের বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, প্রথমে জেলা কমিটি গত ৩০ নভেম্বর আমাদের নেতৃত্বে একটি ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা দেয়। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কমিটির প্রচার ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অজুহাতে ওই ছাত্রদল আহ্বায়ক কমিটির সকলকে বহিস্কার করা হয় এবং প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি জেলা ছাত্রদল ও কেন্দ্রিয় নেতৃবন্দকে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আহ্বান জানান। অপরদিকে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো.কামাল হোসেন ও সদস্য সচিব শরিফুল হক স্বপন জানান , তাদের সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারনে জেলা কমিটি বহিস্কার করেছে। তারা সরকারী দলের কতিপয় অসাধু নেতাকর্মীদের মদদে আমাদের সাথে দন্দ্বে জড়াতে চায়।