প্রশান্তি ডেক্স ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শহীদ মিনারের ছবি সম্বলিত বিজয় দিবসের ব্যানার তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরাও এটিকে অসঙ্গতি হিসেবে দেখছেন।
গত বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস। এ দিবসকে ঘিরে বাংলাদেশে পালন করা হয় নানান কর্মসূচি। অনুষ্ঠানমালা শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে।
এদিন সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
কিন্তু এ সময় আয়োজিত আলোচনা সভার ব্যানারে দেখা গেছে শহীদ মিনারের ছবি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, শহীদ মিনার বাংলাদেশের চেতনার অংশ হলেও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তার ছবি বেমানান। কেননা সেটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন। যদিও অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের কথা স্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই ব্যানার তৈরির মধ্য দিয়ে কর্তৃপক্ষ শহীদ দিবস ও বিজয় দিবসের পার্থক্য নিরূপণে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন সিনিয়র শিক্ষক এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র শিক্ষকরা বলেন, একেবারে মেধাশূন্য কাজ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কাজের শামিল। বিজয় দিবস উদযাপনে হাস্য ও লজ্জ্বাকর ঘটনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বিজয় দিবসের যে কোনো ব্যানারে বিগত ৫০ বছরে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্বলিত ছবিগুলো শোভা পেত কিন্তু শহীদ দিবস ও বিজয় দিবসের পার্থক্য নিরুপনে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই ব্যানারটি তৈরির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, আগের ধারাবাহিকতায় এই ব্যানারটি তৈরি করেছি। আগেও শহীদ মিনারের ছবি দিয়ে ব্যানার তৈরি করা হয়েছে। আমরা এটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি, আগামীতে আর এমনটা হবে না আশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আতিকুর রহমান বলেন, ব্যানার তৈরির সময় আমাদেরকে দেখানো হয়নি, ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে এই ভুলটা হয়ে গেছে।