ইম্মানুয়েল। ঈসা মসীহের জন্মোপলক্ষে…। খোদা’কে ধন্যবাদ তাঁর পরিকল্পনার জন্য এবং আজকের এই বিশেষ দিনের জন্য। খোদার নামেই আরম্ভ করছি আমার এই সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। আমরা দেশী-বিদেশী বিখ্যাত ব্যক্তিদের অনেকেরই নাম জানি। তাদের কারো কারো সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু জানি, আবার হয়ত কিছুই জানিনা। জানা কি না জানা এই বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আজ আমরা খুঁজে বের করব সেই বিখ্যাতদের বিখ্যাত কিতাবুল মোকাদ্দস স্বীকৃত এমন একজন ব্যক্তিকে যার এই পৃথিবীতে আগমন উপলক্ষ্যে আমাদের আজকের এই আয়োজন। যার উপলক্ষ্যে আজকে আমরা একত্রিত হয়েছি তাঁর সম্পর্কে কিছু জানব এবং আমার সাধারণ বুদ্ধি থেকে কিছু প্রশ্ন উপ¯’াপন করব। প্রশ্নগুলি হল:
১। তিনি কে?
২। তিনি কোথায় এসেছিলেন?
৩। কখন তিনি এসেছিলেন?
৪। কেন তিনি এসেছিলেন?
আমরা এই প্রশ্নেরগুলির উত্তর খুজে পেতে কিতাবুল মোকাদ্দস ব্যবহার করব। কিতাবের আয়াত পাঠ করেই আমরা প্রশ্নের উত্তর এবং আমাদের জীবনের সমাধান পাব বলে আমার বিশ্বাস। আমার ধারনা, যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে বুঝতে পারব এবং অনুভব করতে পারব যে কেন ঈসা মসীহ পৃথিবীতে বিখ্যাত ও অতি পরিচিত?
১। তিনি কে, আমরা সকলেই জানি। তিনি হলেন ঈসা মসীহ। আর যার জন্য আজকের এই বার্তা।
২। কোথায় তিনি এসেছিলেন, প্যালেষ্টাইনে বা ইসরাইলে? আমার প্রশ্ন- এই ¯’ানগুলি কি বড় কোন দেশ? একেবারেই না! এই দেশগুলি আকারে ও আয়তনে খুবই ছোট। আমার উত্তরের সাথে আপনাদের উত্তর এক হবে বলে আমার বিশ্বাস। ইসরাইল বা প্যালেষ্টাইন দেশের আয়তন ২০,০০০ বর্গ মাইল, আর আমাদের বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৪,০০০ বর্গ মাইল। ঐ দেশগুলি আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে ৭গুন ছোট। আর আল্লাহ তাঁর নবীদেরকে সেখানেই পাঠিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তাঁর মসীহের জন্ম সেখানেই হবে। তবে আল্লাহ কেন ইব্রাহীমকে সেখানে পাঠিয়েছিলেন এবং মূসাকে বলেছিলেন, ইব্রাহীমের সন্তানদেরকে মিশরের বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে সেখানে (ইসরাইল/প্যালেষ্টাইন) নিয়ে যাও? কেন মসীহ সেখানে এসেছিলেন? দয়া করে আপনারা ম্যাপ দেখবেন এবং সেই জায়গাটি চিহ্নিত করবেন। পৃথিবীর কোন্ ¯’ানে বা অব¯’ানে ঐ জায়গাটি অব¯ি’ত তাও চিন্তা করবেন। এই চিন্তার অবসান ঘটানোর লক্ষে চলুন আমরা কিতাবুল মোকাদ্দস এর হেজকিল ৫ঃ৫ আয়াত পাঠ করি “আমি আল্লাহ মালিক বলছি; এই হল জেরুজালেম। তাকে আমি জাতিদের মাঝখানে ¯’াপন করেছি”; তার চারপাশে রয়েছে নানা দেশ। পৃথিবীর মধ্যবর্তী ¯’ান হল জেরুজালেম। যার চারিদিক বিভিন্ন দেশে ঘেরা এবং অনেক জাতির বসবাস। এই কারণেই আল্লাহ তাঁর নবীদেরকে সেখানে পাঠিয়েছেন। জেরুজালেম নামের অর্থ হল, শান্তির শহর। যার উদ্দেশ্যে আজকের এই লিখা, তিনি হলেন ঈসা মসীহ; যার মধ্যে শান্তি ছিল, আছে এবং থাকবে অনন্তকাল। তিনি (ঈসা মসীহ) জন্মেছিলেন কোথায়? বেথেলহেম নামক ছোট্ট একটি গ্রামে। বেথেলহেম নামের অর্থ পবিত্র ¯’ান। বেথেলহেমের অব¯’ান ছিল জেরুজালেম শহরের একটু বাইরে। চলুন আমরা হেজকিল ৫ঃ৬ আয়াত পাঠ করি। “কিš‘ সে তার খারাপির জন্য আমার শরীয়ত ও নিয়মের বিরুদ্ধে তার চারপাশে নানা জাতি ও দেশের চেয়েও বেশী বিদ্রোহ করেছে। সে আমার শরীয়ত অগ্রাহ্য করেছে এবং আমার নিয়ম মেনে চলেনি”। আমরা জেনেছি যে, সমস্ত জাতিদেরকে অশান্তি ও বিশৃংখলা থেকে মুক্ত করে মাবুদ তাঁর শান্তির শহরে বসবাস করার ব্যব¯’া করেছেন। কিš‘ সেই শান্তির শহরে আমরা থাকতে পারিনি, বরং সকল পাপের রেকর্ড ভঙ্গ করে আরো বেশী পাপ করেছি। আর এই কারণেই মাবুদকে পৃথিবীতে আসতে হল।
৩। কখন তিনি এসেছিলেন?
আজ থেকে প্রায় ২০২০ হাজার বছর আগে তিনি এসেছিলেন। ইবরানী ১ঃ১ আয়াত পাঠ করলে আমরা এই বিষয়ে আরো স্পষ্টভাবে জানতে পারব । “অনেকদিন আগে নবীদের মধ্য দিয়ে আল্লাহ আমাদের পুর্বপুরুষদের কাছে নানাভাবে অনেকবার অল্প অল্প করে কথা বলেছিলেন। কিš‘ এইদিনগুলির শেষে তিনি তাঁর পুত্রের মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে কথা বলেছেন।”
মাবুদ আল্লাহ যুগযুগ ধরে আমাদের কাছে তাঁর নবীদের মাধ্যমে আমাদের পাপের কথা বলেছেন ও পাপ থেকে মুক্তি পাবার কথাও বলেছেন। মাবুদ আল্লাহ পবিত্র। তিনি তাদের মাধ্যমে এই কথা ঘোষনাও করেছেন। আর এইজন্যই আমাদেরকে পবিত্র রাখতে বিভিন্ন ব্যব¯’া গ্রহন করেছেন। তিনি আইন –কানুনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। কিš‘ সেই আইনকানুন অমান্য করে আমরা অবাধ্য হয়েছি বারবার। যা শুরু হয়েছিল বাবা আদমের মাধ্যমে। আর এই কারণেই মাবুদ আল্লাহ তাঁর মনোনীত একমাত্র রুহানী পুত্র ঈসা মসীহকে এই পৃথিবীতে যুগের শেষে যখন সব কিছু প্র¯‘ত ছিল তখন পাঠালেন এবং তাঁর কাজের সমাপ্তি টানলেন।
৪। কেন তিনি এসেছিলেন?
ক) তিনি আমাদেরকে আইনকানুন দিতে আসেননি। যা ভাল ও দরকারী তা দিতে এসেছিলেন। কিš‘ আল্লাহ তাঁর আইনকানুন দিয়েছিলেন পূর্বকালীন নবীদের কাছে। আমরা জানি আদম এবং হাওয়াকে কতগুলি আইন দেয়া হয়েছিল। তারা কি সেইগুলিতে বাধ্য থাকতে পেরেছিল বা পালন করেছিল? আমরা এও জানি তুর পাহাড়ে মূসা কতগুলো আইন বা নিয়ম আল্লাহর কাছ থেকে গ্রহন করেছিল। মূসার শরীয়ত অনুসারীরা কি সেইগুলির বাধ্য থাকতে পেরেছিল? আমরা দেখেছি আইনগুলি প্রমান করে আল্লাহর পবিত্রতার কথা, আমাদের অবাধ্যতা বা গুনাহের কথা। আমাদের সমস্যা আল্লাহর দেয়া আইনের সাথে সম্পৃক্ত নয়। সমস্যা এইখানে যে, আমরা এই আইনের বাধ্য হয়ে চলতে পারি না। এই আইন আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, আমাদের প্রয়োজন আল্লাহর রহমতের। প্রত্যেক মানুষই যে পাপী তার অসংখ্য প্রমান পাই বাবা আদম থেকে আরম্ভ করে মহামানব-মানবীর জীবনের দিকে তাকালে। আমরা পাপী তাই আমাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন পাপ থেকে মুক্তি।
খ) তিনি বাগবিতন্ডাও করতে আসেননি, আবার যুদ্ধের দামামা বাজাতেও আসেননি। জগতের মন্দ অব¯’ার জন্যও আসেননি। মূসা থেকে দাউদ পর্যন্ত নবীরা যা করেছিলেন তা করতেও আসেননি। চলুন আমরা মার্ক ১০ঃ৪৫ আয়াত পাঠ করি। “মনে রেখো, ইবনে আদম সেবা পেতে আসেননি বরং সেবা করতে এসেছিলেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসেবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছিলেন।” তিনি সেবা পাওয়ার জন্য আসেননি যেভাবে সেনাবাহীনির প্রধান, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী সেবা পান। তিনি সেবা দিতে এসেছিলেন এবং তাঁর দ্বিতীয় আগমনেও তিনি বিশ্বাসীদের সেবা দেবেন। মোটকথা বিশ্বাসীদেরকে স্বাগতম জানিয়ে রাজাদের রাজা এবং প্রভুদের প্রভু হয়ে একসাথে সকলকে নিয়ে বেহেশতে প্রবেশ করার জন্য আসবেন। এই ছিল তাঁর আইন।
গ) তিনি শুধু শিক্ষা দেওয়া এবং মোজেজা বা অলৌকিক কাজ দেখাতে আসেননি; যদিও তিনি তা করে দেখিয়েছেন। পবিত্র ইঞ্জিল শরীফে তিনি বলেন, তাঁর পৃথিবীতে রাজত্বকালীন সময়ে বিভিন্ন কাজ করেছেন এবং বলেছেন যে, “এখনও আমার সময় হয়নি”। ঠিক, তবে প্রশ্ন হলো, সেইসময়টি কি? আমরা জানি যে তাঁর চলে যাওয়ার পর পৃথিবীতে তাঁর কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য লোক প্র¯‘ত করা এবং নির্বাচন করা, এমনকি বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া, শেষে পাপীদের জন্য ক্রশে প্রান দেওয়া ছিল তাঁর কাজ।
ঘ) তিনি ক্রশে প্রাণ দেওয়ার পূর্বেই বলেছিলেন যে আমার সময় হয়েছে। এই প্রাণ দেয়াটাই ছিল তাঁর মুখ্য বিষয়। তিনি ক্রশে প্রাণ দিতে এসেছিলেন। তাঁর জন্ম ছিল এই মৃত্যুর জন্য। এক অসাধারণ ব্যাপার। যাক, আমরা মার্ক ১০ঃ ৪৫ আয়াত স্মরণ করি, “মনে রেখো, ইবনে আদম সেবা পেতে আসেননি বরং সেবা করতে এসেছিলেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছিলেন।”
তিনি আমাদের পাপের কাফ্ফারা দিতে এসেছিলেন এবং ক্রশে তা দিয়েছেন যাতে আমরা আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে পারি।
ঙ) আজ ২৫শে ডিসেম্বর। এই দিনটিকে বলা হয় বড়দিন। আমরা নিশ্চয় জানি এইদিনে কি হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল ও কাদের জন্য হয়েছিল। পবিত্র ইঞ্জিল শরীফ বলে তিনি বন্দিদের কাছে মুক্তির কথা ঘোষনা করতে এসেছিলেন। পাপীদেরকে পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য এবংআল্লাহর সাথে যোগাযোগ সম্বন্ধ ¯’াপন করার জন্য এসেছিলেন। তাই আজ আমরা যারা ঈসা মসীহকে জানি এবং তাকে আমাদের নাজাতদাতা হিসাবে গ্রহন করেছি তারা আজকে নুতন করে শপথ নিব, যেন আমরা তাঁর উপর বাধ্য থেকে নির্ভরতা ও বিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে পারি। বিগত দিনের ছোট ছোট ভুলগুলি স্বীকার করি এবং সামনে যেন এই ভুল থেকে শুধরিয়ে নতুন এবং সম্পূর্ণ মসীহি জীবনযাপন করতে পারি; কিš‘ যারা আজও তাকে জানেনা তাদেরকে জানানোর জন্য মসীহের দেয়া শিক্ষায় অগ্রসর হতে পারি। আজ আমরা যারা এই সু-সংবাদটি পড়ছি কিš‘ এখনও মসীহকে নাজাতদাতা হিসাবে স্বীকার করিনি, তারা এখনই তা স্বীকার করে নত’ন জীবন লাভ করতে পারি। একমাত্র পৃথিবীতে ঈসা মসীহই এসেছেন পূর্ণাঙ্গ স্বাধিনতা দেয়ার জন্য এবং তিনি আমাদেরকে স্বাধীনতার জীবন দিয়ে গেছেন। যা আজ আমরা প্রত্যেক বিশ্বাসীরাই (ঈমানদারগন) উপভোগ করে যা”িছ।
৫। কাদের জন্য তিনি এসেছিলেন?
তিনি কখনো শক্তিশালী, ভাল লোক এবং ধার্মীকদের জন্য আসেননি। অনেকেই বলতে পারেন যে, আমাদের আল্লাহর রহমত প্রয়োজন নেই। এই কথাটি যেকেউ পছন্দ করতে পারে আবার নাও করতে পারে। কিতাবুল মোকাদ্দস প্রমান করে যে আমরা সবাই পাপী। ঠিক তাই, আমরা নিজেরাও তা দেখি এবং জানি। অনেকেই নিজের পাপ দেখতে চায়না। আবার অনেকেই পাপ দেখে কিš‘ স্বীকার করে না এবং বলে যে এটিই শক্তিশালী এবং এর মাধ্যমেই আল্লাহর গৌরব ও প্রশংসা করা যায়। যারা মনে করে তাদের সেই ভুল পথই ভাল এবং শক্তিশালী; আসলে কি তাই? কোনটি সঠিক ও কোনটি নির্ভুল তা যাচাই করে দেখুন।
আমরা এই অংশে ঈসা মসীহ ও বড়দিন সম্পর্কে দেখেছি এবং জেনেছি, এই দিনটিকে আমরা কেউ কেউ আবার ঈদুল মসীহ্ বলে থাকি। আজকের এই দিনেটিই আমাদের ঈদ। এই অংশে আমরা এও জেনেছি যে, তিনি কোথায় এসেছিলেন; কখন এসেছিলেন; কেনএসেছিলেন এবং কাদের জন্য এসেছিলেন?
ক) এই প্রশ্নগুলি অবশ্যই আমাদের জীবনের সমাধান দিতে পারে; যদি আমরা বুঝি যে তিনি আমাদের জন্য এসেছেন । হয়ত কারো উত্তর হাঁ বা না হতে পারে। যদি আমরা আমাদের নিজ নিজ পাপ স্বীকার না করি এবং আল্লাহর দয়া ঈসা মসীহকে আমাদের নাজাতদাতা হিসাবে গ্রহন না করি, তবে আমাদের সামনে আর কোন সুযোগ বা পথ খোলা থাকবে না। আমরা ভাবতে পারি আল্লাহর কাছে যাওয়ার অনেক সুযোগ আছে। তা ঠিক, এই সম্পর্কে পবিত্র ইঞ্জিল শরীফের প্রেরিত খন্ডের ৪ঃ১২ আয়াত কি বলে তা দেখি, “নাজাত আর কারো কাছে পাওয়া যায় না, কারণ সারা দুনিয়াতে আর এমন কেউ নেই যার নামে আমরা নাজাত পেতে পারি”। একমাত্র ঈসা মসীহের কাছেই নাজাত রয়েছে আর আমরা তাঁর নামের উপরই দাঁড়াতে পারি।
খ) যদি আমরা আমাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে থাকি, তবে চলুন আমরা তাকে গ্রহন করি, এবং আমাদের ২য় প্রশ্নের দিকে এগিয়ে যাই। আমরা কি তাঁর বাধ্য থাকব? যখন আমরা তাকে আমাদের নাজাতদাতা হিসাবে গ্রহন করি, তখন থেকেই তিনি আমাদের প্রভু, তিনিই একমাত্র প্রভু এবং আমরা অবশ্যই তাঁর বাধ্য থাকব। হ্যাঁ, তিনিই ব্যতিক্রমী এবং আমাদের আধ্যাত্বিক চিন্তার শিক্ষক। তিনি জাগতিক শিক্ষকদের মত শিক্ষক নন। তিনি ভালোবাসার শিক্ষক যা আমাদের অক্ষমতাকে শক্তি দিয়ে রহমতের মাধ্যমে পূর্ণ করেন এবং অসাধ্য কাজ তাঁর শক্তিতে আমাদেরকে ব্যবহার করে সমাধান করেন। তিনি স্বয়ং নিজেই সকল অব¯’ায় আমাদেরকে পরিচালনা করে যা”েছন। তিনি আমাদের সকল অধার্মীকতা মুছে দেন এবং পবিত্র রাখেন, যাতে তিনি আমাদের মধ্যে বাস করতে পারেন।
গ) তাঁর আদেশ এবং মহিমা বলতে কি বুঝি? আমরা পৃথিবীতে তাঁর আগমনের কথা একটু চিন্তা করি। চলুন আমরা অন্য নবীদের জীবনের শেষদিকটি এবং ঈসা মশীহের জীবনের শেষদিকটি নিয়ে চিন্তা করি । এই শেষ আদেশটি ঈসা মসীহ বেহেশতে যাওয়ার পূর্বে আমাদেরকে দিয়েছিলেন যা মথি ২৮ ঃ ১৮-২০ আয়াত পাঠ করলে আমরা লক্ষ্য করব, “তখন ঈসা কাছে এসে তাদের এই কথা বললেন, “বেহেশতের ও দুনিয়ার সমস্ত ক্ষমতা আমাকে দেয়া হয়েছে। এইজন্য তোমরা গিয়ে সমস্ত জাতির লোকদের আমার উম্মত কর। পিতা, পুত্র ও পাক রুহের নামে তাদের তরিকাবন্দি দাও। আমি তোমাদের যে সব হুকুম দিয়েছি তা পালন করতে তাদের শিক্ষা দাও। দেখ, যুগের শেষ পর্যন্ত আমি তোমাদের সংগে সংগে আছি”, আমিন। আমরা যেখানেই থাকি না কেন বা যে অব¯’াতেই থাকি না কেন, আমরা তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে পারি; তিনি যে দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়ে গেছেন তা যেন আমরা তাঁর ই”ছায় পালন করে যেতে পারি, সেই মনোবল ও সাহস প্রার্থনা করি।
আমি বড়দিনের তাৎপর্য সংক্ষিপ্তভাবে বর্ননা করেছি মাত্র, হয়ত এর মধ্যে অনেক ভুল থাকতে পারে বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পরে যেতে পারে, তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নি”িছ।