অন্ধকারের মাঝে আলোর হাতছানি দিয়ে বিদায় নিলো ২০২০ সাল। অনেক শিক্ষা ও দিক্ষা দিয়ে জাতিকে এবং সর্বোপরি বিশ্বকে আগামীর গন্তব্য ঠিক করতে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে এমনকি নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। নতুন প্লাটফর্ম তৈরী করে নতুন আঙ্গিকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুবিস্তার ব্যবস্থা করেছে। ডিজিটাল রূপরেখা বাস্তবে ব্যবহৃত হয়ে আগামীর করনীয়তে শির্ষস্থান দখল করেছে। বিশ্ব ডিজিটাইজেশনের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশেও এর বহুল প্রচলন আগামীর বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে সমূহ সম্ভাবনা উকি দিয়েছে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অগ্রজ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বকে নতুন করে পথ দেখাতে এই ডিজিটাল পদ্ধতির কর্মপন্থা অবলম্বনে সকলে একযোগে মনোনিবেশ করেছে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেও এর ভুমিকা অগ্রজে অতুলনীয়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে কিন্তু পরিকল্পনার এমনকি এর বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। যাতে করে পুর্বের পরিকল্পনার উপর দাঁড়িয়ে আগামীর কর্মপরিকল্পনা ও কর্মপন্থা নির্বাচনে ভুমিকা রাখতে যুগান্তকারী সাহস যুগিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ পরিপূর্ণ রূপ লাভ করেছে এবং বাস্তবভিত্তিক উন্নয়নের মহানায়ক হিসেবে কায়মনোবাক্যে স্বীকার করার সকল উপকরণে হাজির হয়েছে এমনকি প্রমানীত বাস্তবরূপে প্রধানমন্ত্রীর দূরদশীতার ফল উপভোগ করতে সক্ষম হয়েছে।
ব্যবসা বাণিজ্যে, অফিস-আদালত এমনকি ধর্মীয় এবাদত কাঠামোতেও এর ভুমিকা আজ প্রশসংসার অগ্রজে এবং ঘরমুখো মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে একযোগে টনিক বা একমাত্র উপকরণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সময়মত সকল কাজের সমাপ্তি টানতে ভুমিকা রেখেছে। যোগাযোগ স্থাপনে এমনকি গতিময়তা ধরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। বই ছাপা, বিতরণ, প্রণোদনার টাকা বিতরণ, কাজের চুক্তি বাস্তবায়ন, বৈশ্বিক সম্পর্কোন্নয়ন, স্মরনার্থী সেবার মানোন্নয়ন এমনকি নিয়ন্ত্রণ সহ যাবতীয় কাজে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কাজ করছে। সন্ত্রাসী, দাগী আসামী এমনকি ক্রিমিনাল চিহ্নিত করতে এমনকি আইনের আওতায় আনতেও এই ডিজিটাল মাধ্যমই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল যুগের যাত্রায় এবার নির্বাচন ব্যবস্থাও সম্পন্ন হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমেই। তাই আগামীর নতুনত্ব অথবা নব আবিস্কারও কিন্তু এই ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করেই হবে। তাই সময় এবং জ্ঞান ও চিন্তাকে কাজে পরিণত করতে সমন্বয়ই গুরুত্ব পাবে। সমন্বয়ের অভাবে যেন আগামীর প্রজন্ম সম্ভাবনার অগ্রজে বাধাপ্রাপ্ত না হয়। আমাদের প্রজন্ম আজ প্রযুক্তি নির্ভর এমনকি প্রযুক্তির কল্যানে সামনের দিকে দুর্বার গতিময়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের প্রজন্ম আজ পিছিয়ে পড়ছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের জ্ঞানের ব্যাপ্তি বৃদ্ধিতে দারুন বাধাগ্রস্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাহস এমনকি সুযোগের সৎব্যবহারে পিছিয়ে পড়ে ঝিমিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার অগ্রসরতা এবং জ্ঞানের ভান্ডার বিস্তারের ক্ষেত্রগুলো। তবে ইংরেজী মাধ্যমের বিদেশী কারিক্যুলামের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাচ্ছে এই ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যানে। তাদেরকে আটকানোর কোন কৌশলই যেন কাজে আসছে না। তবে গতিময়তা এবং ছন্দময় স্বতস্ফুস্ত অংশগ্রহনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থার দৈন্যদশা দূর করতে ঐশ্বরিক আহবানের অপেক্ষায় যেন বসে আছে কর্তৃপক্ষ। তবে মাদরাসা ব্যবস্থায় শিক্ষা কিন্ত এগিয়ে যাচ্ছে এবং কোন প্রতিকুল বাধাই তাদের আর আটকাতে পারছেনা। কারন তারা ঐ ইংরেজী মাধ্যম শিক্ষার অনুকরণীয় অনুসরনকারী হিসেবে কোমর বেধে চিন্তা এবং কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন, হুংকার, ঝংকারসহ যাবতীয় আওয়াজে তারা এই ডিজিটাল প্রযুক্তিকে পুরোপুরি ব্যবহার করে কাজে লাগাচ্ছে। অপরদিকে বিপরীতমুখী অথবা সাধু-সন্নাসী এমনকি ইতিবাচক মনোভাবের সরলমনারা কাজের কাজ কিরতে কিছুই পারছে না এমনকি এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের আগামীর কল্যাণে এখনই ভাবতে এবং সমানভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইনের বাধ্যবাধকতা আরোপিত করে যুগের সংকটে এগিয়ে আসার সমূহ ব্যবস্থা করতে হবে।
রাতের অন্ধাকার গহিন থেকে জন্মনেয়া ২০২১নামক সালের প্রারম্ভেই এইসকল চিহ্নিত সমস্যার সমাধান করে কাজে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। অনেক আশা ও আকাঙ্কা নিয়ে জন্মনেয়া ’২১কে কাজে লাগাতে যা যা করণীয় তা ঠিক করে বাস্তবে রূপদান করতে হবে।’২০শের বিদায় এবং ’২১এর আর্ভিভাবে জাতি ও দেশ এবং বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়ে আগামীর কল্যাণের তরে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজে নেমে পড়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ব ব্যবস্থা থেকে সকল নেতিবাচকতা দূর করণের লক্ষে ’২১কে ব্যবহার করে কাজে পরিণত করতে হবে। ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং সকল কাজের বীজ বপন ও রোপন করে সেবার মাধ্যমে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে চেষ্টা ও কাজের সমন্বয় ঘটানো এখন বাস্তবের নতুন দাবী। এই দাবির সঙ্গে একমত হয়েই মনোনিবেশ করে কাজ সম্পাদন করতে হবে। তাই এই সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া ’২১ হউক সকল আশা আকাঙ্খা ও স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা, নির্ভরতা, উন্নয়ন ও গতিশীলতা এমনকি বিশ্বব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনে ইতিবাচক ভুমিকা রাখার প্রধান নিয়ামক।