ইংরেজী নববর্ষ বা নতুন বছরকে কে না জানায় স্বাগত! বিশ্বের সকল মানুষই স্বাগত জানিয়েছে এবং বরন করে নিয়েছে এই ২০২১কে। গত বৃহস্পতিবার রাত (মধ্যপ্রহরে) ১২টা থেকে শুরু করেই এর যাত্রারম্ব হয়েছে। তবে কেউ কেউ আবার অগ্রীমও বরন করে নিয়েছে এই ২০২১ নামক নতুন বছরকে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে মনে হয়েছে ২০২০ যেন ছিল অভিশাপের, আতঙ্কের এবং অস্থিতিশীলতার এর উর্বর দিগন্তের। তাই যত তাড়াতাড়ি এই ২০ নামক বছরটিকে বিদায় দেয়া যাবে ততই মঙ্গল। কি আছে ২১ নামক বছরটিতে? আর কিইবা ছিলনা ঐ বিদায়ী ২০ নামক বছরটির।
২০২০ নামক বছরটি আমাদেরকে যে শিক্ষা এবং দিক্ষা দিয়েছে এমনকি সামনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা প্রসস্ত করেছে তার জন্য খোদা তায়ালার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি দেখিয়েছেন তাঁর ক্ষমতা, সুরক্ষা, নিয়ন্ত্রণ, ভালবাসা এবং ক্ষমা ও উপযুক্ত যোগান। শয়তানের কোন কোমন্ত্রণাই খোদার রহমত থেকে বঞ্চিত করতে পারে না এমনকি শয়তানের কোন কাজই খোদার রহমত পেতে সহায়তা করতে পারে না। তবে বিশ্ব যদি ঐ করোনা নামক মহামারী থেকে শিক্ষা এবং দিক্ষা না নেয় তাহলে গজব আসন্ন।
লুকিয়ে বাঁচার দিন শেষ এমনকি ঔষধে বাঁচার দিনও শেষ; কিন্তু খোদার বাক্যে, বিশ্বাস এমনকি নির্ভরতায় বাঁচার দিন আছে ও থাকবে। তাই ২০২০ সালকে অভিশাপ নয় আশির্বাদ ভেবে এর অর্জনকে সামনে এগিয়ে নেয়ার সময় এখন এবং এর অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগানোর সময়ও এখন। তাই ২০২১ সাল টিকার নয়; আশার নয়, হতাশারও নয় বরং বাস্তবতার এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের। উপযুক্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার। সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে আরো গভীর সম্পর্ক স্থাপনের।
’২১কে যদি নিশ্চিত স্থিতিশীলতা এবং শান্তির আবরণে রূপদান করতে হয় তাহলে টিকা নয়; রোগ ভীতি নয় বরং খোদার অভিপ্রায় বুঝে অগ্রসর হতে হবে। খোদার সান্নিধ্যে থেকে বিশ্বকে ভীতিমুক্ত করতে হবে এমনকি টিকার উপর ভরসা না করে বরং খোদার উপর বিশ্বাস ও ভরসা বৃদ্ধি করে এগিয়ে যেতে হবে। খোদার দেখানো ও শেখানো পথেই শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজমান রাখতে হবে। পৃথিবীকে শান্তির আবরণে শাসনে আনতে হবে। এই মাধ্যমেই ২০২১হউক আমার আপনার সকলের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা এবং আনন্দের এক মহোৎসব।
২০২১শে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা, ভালবাসা এবং সর্বান্তকরণে শুভকামনা জানিয়ে পাশে থাকার নিশ্চয়তা অব্যাহত রাখছি।