ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নাশকতার আশংকায় বিএনপি’র একত্রে জড়ো হওয়ায় পুলিশ বাধা দেয়ায় পাল্টা পুলিশের উপর চড়াও হয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। গত রোববার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ২৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে এবং অজ্ঞাত আরো ২শ জনকে আসামী করা হয়েছে। রাতেই দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত রোববার বিকেলে উপজেলার আড়াইবাড়ী এলাকায় উপজেলা যুবদল আহবায়ক মো.কামাল হোসেন, সদস্য সচিব শরিফুল হক স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম দিপু ও উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকলে নাশকতার আশংকায় এবং জনগনের জানমাল নিরাপত্তায় পুলিশ তাদের বাধা প্রদান করে। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি’র লোকজন পুূলিশের উপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তাদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে কর্তব্যরত কসবা থানা এস.আই আতিক ও কনষ্টেবল মোজাম্মেল আহত হন। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভংগ করতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন করে। ওই দিন সন্ধ্যায় আহত এস.আই আতিক বাদি হয়ে বিএনপি ও তার অংগ সংগঠনসহ ২৫ জনকে আসামী করে দাংগা ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। রাতেই ওই মামলায় উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোশারফ হোসেন ও পৌর যুবদলের আহবায়ক মো.মোরশেদকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক মো.কামাল উদ্দিন বলেন; পুলিশের অনুমতি নিয়েই আমরা ছাত্রদলের ৪২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে র্যালী নিয়ে বের হই। র্যালী নিয়ে আমরা আড়াইবাড়ী গ্রামের দিকে যেতে থাকি। এসময় পুলিশ পেছন দিক থেকে আমাদের লোকজনদের উপর চড়াও হয় এবং র্যালী ছত্রভংগ করতে গুলি ছুড়ে পুলিশ। আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মো.সাইফুল ইসলাম বলেন; ছাত্রদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা র্যালী বের করি। র্যালীটি কদমতলী মোড় থেকে পুনরায় আড়াইবাড়ী গ্রামের ভিতরে আসার সময় পুলিশ পেছন থেকে হামলা করে। এতে বিএনপি’র সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকলিল আজম সহ প্রায় ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়। সাইফুল পুলিশের স্বেচ্চাচারিতার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকলে নাশকতার আশংকায় ও জানমাল নিরাপত্তায় পুলিশ তাদের একত্রে জড়ো হতে বাধা দেয়। এসময় নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। এঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। দু’জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post