মুক্তির পথে এগিয়ে যেতে হবে বহুদুর কথাটি বলা সহজ হলেও বাস্তবায়ীত করা হুবই কঠিন। আমাদের সমাজে এবং দেশে ও সর্বোপরি বিশ্বে এই এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধাস্বরূপ প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবেলা করে বা পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগীতায় এমনকি সম্মুখ যুদ্ধে টিকে থাকা জরুরী। তাই যত বাধাই আসুক না কেন তা থেকে পিছপা হওয়ার কোন সুযোগ নেই এমনকি পিছপা হওয়ার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণও নেই। এই ক্ষেত্রে লেগে থাকতে হবে এমনকি মনোবল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর ও কঠিন হতে হবে। তবে এই এগিয়ে যাওয়াতে সাহস যোগাতে এমনকি প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় উর্ত্তীর্ণ হতে দৃষ্টান্ত হিসেবে বাংলাদেশের অহংকার এবং বিশ্ব বিবেক, বিশ্বনেত্রী, জননেত্রী বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী যিনি ইতিহাসের নব আবিস্কার বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার কাছ থেকে এমনি তাঁর রাজনৈতিক জীবন ও সরকারের সফলতার কাছ থেকে শিক্ষা ও দিক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেছেন “এগিয়ে যেতে হবে বহুদুর” কথাটি চিরন্তন সত্য এবং এই কথাটি ওনার, আমার, আপনার সকলের। তাই সকলকেই এই এগিয়ে যাওয়ার সারথী হতে হবে। স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রগুলোকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
মুক্তির দেখা মিলবে কি মিলবে না তা বিবেচ্য বিষয় নয় বরং এগিয়ে যাওয়ায় বিবেচ্য বিষয় হতে হবে। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এবং বিশ্ব পরিমন্ডলে এই এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতি পদক্ষেপেই বাধা আসবে আর ঐ বাধাকে ডিঙ্গিয়ে বা উপেক্ষা নয় পাশ কাটিয়ে গতিময়তার ছন্দে এগিয়ে যেতে হবে। লক্ষ্য স্থির রেখে চিন্তা ও কাজের সমন্বয় গঠিয়ে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে বাস্তবতার এক মহা আবিস্কারের। একটি শিশু যেমন জন্মের পর থেকে বিভিন্ন বাধা ডিঙ্গিয়ে শৈশব, কৌশর, যৌবন, পৌঢ়ে পরিণত হয় এবং একটি ইতিহাস বা গল্প উপাখ্যান হিসেবে দৃষ্টান্তস্বরূপ দৃশ্যমান রাখে ঠিক সেইভাবেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। মানুষের চেষ্টায় যদি আল্লাহর ইচ্ছার অভিপ্রায় যুক্ত থাকে তাহলে সফলতা পেতে সহজ হয় আর যদি ব্যক্তিস্বার্থের সম্পৃক্ততা যুক্ত থাকে তাহলেও কখনো কখনো সফলতা পাওয়া যায় আবার বিফলও হওয়ার নজির দৃশ্যমান। এক্ষেত্রে আল্লাহর কালামের উদৃত্তি দেওয়া যেতে পারে “তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমিই জানি, আর সেই পরিকল্পনা তোমাদের মঙ্গলের জন্য, অমঙ্গলের জন্য নয়; সেই পরিকল্পনার মধ্যেদিয়েই তোমাদের ভবিষ্যতের আশা পূর্ণ হবে।”
চারিদিকের সমস্যার অন্তরালে আলোর দিশারী হিসেবে কাজ করবে আমাদের আশা-আকাঙ্খা, চিন্তা ও কাজের সমন্বয় এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুফল ফসল। এইতো সদ্য শেষ হয়েছে আমেরীকার নির্বাচনী নাটক। ক্ষমতা নেয়া এবং দেয়ার মধ্যে যে লোভনীয় মিথ্যার দ্বন্ধ পরিলক্ষিত হয়েছে তা আগামীর জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে। কোন শিক্ষা বা দিক্ষার ক্ষেত্রে এই নির্বাচন সভ্যসমাজে কাজে আসবে বলে মনে হয় না। তবে এর থেক্ষে নেতিবাচক ঘৃণার যে প্রকাশিত রূপ দৃশ্যমান হয়েছে তার থেকে বের হয়ে আসার উপায় খুঁজতে বিশ্ব এখন মরিয়া হয়ে কাজ করবে। টিকা বাণিজ্য এবং রোগক্রান্ত বিশ্ব এখনও আগামীর করণীয় বা দিশা ঠিক করতে পারেনি। তবে চেষ্টার মাধ্য স্বার্থ্যসিদ্ধির মহড়া অব্যাহত রয়েছে তাই খোদার তরফ থেকে কোন আশির্বাদ এখনও বাস্তবতার সঙ্গে মিলে কাজে আসছে বলে মনে হয় না। তবে যারা খোদার আশির্বাদ ছড়াবেন সেই মহানরাই এখন লুকিয়ে জীবন যাপন করছেন। তাই খোদার আর্শিবাদও আজ বিলম্বে পৌঁছতে শুরু করেছে।
সদ্য কলাবাগানে ঘটে যাওয়া নেতিবাচক বিকৃত মস্তিষ্কের দৃশ্যমান ফল বহু মানুষের হৃদয়ে দোলা দিয়েছে; কিন্তু কি এই নৃ:শংস ঘৃনার এমনকি সৃষ্টিকর্তার নিষেধাজ্ঞার কি কোন পুন:জাগরণ ঘটবে? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সহসাই এর থেকে মুক্তি মিলছে না হতভাগা জাতির। ফাউন্ডেশন বা শিকড়ের মাঝখান থেকে পঙ্কিলতার কলুষতা দূর বা মুক্ত করতে না পারলে মুক্তি কি মিলবে? সৃষ্টিকর্তার কাছে কেন আমরা ফিরে আসি না।! যতক্ষণ আমরা সৃষ্টিকর্তার অতি কাছে বা নৈকট্যে পৌঁছতে না পারব বা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মূল্যবোধগুলো পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে চর্চার মাধ্যমে জাগ্রত রাখতে না পারব ততক্ষনে এর থেকে মুক্তি মিলবে বলে আশা করা যায় না। কোথায় নেই মানবতা বিধ্বংশী কাজ? পরিবারে, ব্যবসায়, অফিস-আদালতে সর্বোপরি মানুষের বিবেকে। এইসকল নেতিবাচক লোভনীয় প্রভাব থেকে মুক্তি মিলবে কি? মাঠপর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যে রমরমা মহড়া চলছে তার উত্তরণে ভুমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্তি করছি। আসুন আমরা আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে নূতন করে সাজিয়ে তুলি যাতে করে পূর্বের সকল অপকর্মের দৃষ্টান্ত থেকে বেড় হয়ে এসে নতুন সমাজ ও সভ্যতা দাঁড় করাতে পাড়ি।
ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধের কোন বিকল্প নেই। পরিবার, সমাজ ও দেশ থেকে যদি সকল নৈরাজ্য দূর করতে চাই তাহলে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মূল্যবোধের প্রয়োগের বিকল্প নেই। আগামীর নুতন সমাজ ব্যবস্থায় সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাবে বা দিতে হবে ধর্মীয় মূল্যবোধকে। পরিবারের প্রতি যতœশীল হয়ে সন্তানদের এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পারিবারিক সময় ব্যয় করার কোন বিকল্প নেই। একমাত্র পারিবারিক শিক্ষাই পারে আমাদের আগামীর প্রজন্মকে রক্ষা করতে। পরিবারের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় মূল্যবোধগুলোকে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মুল্যবোধের আবরণে সাজিয়ে তুলতে হবে এবং চর্চায় আনয়ন করতে হবে। শিক্ষার মধ্যে যদি মূল্যবোধের বিরাজমানতা অব্যাহত চর্চায় আনয়ন করা না যায় তাহলে নতুন সভ্যতার উপড় গর্ববোধ নিয়ে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তাই যেতে হবে বহু দূর কে স্বাগত জানিয়ে আগামীর বিশ্বসভাকে সাজাতে এখনই উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে। তবে মূল্যায়নের সময় এখনও হয়নি এবং বর্তমানে মূল্যায়ন করার মত অনুভুতিগুলি সক্রিয় নয় তাই ঐ অনুভূতিগুলোকে সক্রিয় করে তুলতে মূল্যবোধের উপর গুরুত্বারোপ জরুরী হয়ে পড়েছে। আসুন আমরা মূল্যবোধ প্রয়োগ করে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট এবং বিশ্ব ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তুলতে ভুমিকা রাখি।