একজন সার্বজনীন আনিছুল হক হয়ে ওঠার গল্প

তাজুল ইসলাম ॥ যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে স্বীকৃতিতে অধিষ্ঠিত জনাব আনিছুল হক এখন বাংলাদেশের গর্র্ব এবং ইতিহাসের অহংকার। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ গ্রামের কৃতি সন্তান। তিনি উপমহাদেশের বিখ্যাত আইনজীবি, বাংলাদেশ সংবিধান প্রণেতাদের একজন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর গনিষ্ঠ সহচর এবং মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এডভোকেট সিরাজুল হক বচ্ছু মিয়া ও মিসেস জাহানারা হক সাহেবের সুযোগ্য সন্তান। তিনি নিজগুনে সন্তান থেকে অভিভাবক এবং দায়িত্বশীল দায়িত্বপ্রাপ্তদের অন্যতম হয়েছেন। শৈশব ও কৌশর পেরিয়ে যৌবনে ভালবাসার যোগ্য সঙ্গিকে বিয়ে করেছিলেন এবং স্বপ্ন দেখেছিলেন আগামীর কল্যাণের তরে। সেই স্বপ্ন আজো স্বপ্নই রয়েগেল; কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্নকে তিনি দেশোন্নয়নে এবং এলাকার আপামর জনতার উন্নয়নে বিলিন করে দিয়েছেন। প্রীয়তমা স্ত্রী বিয়োগে তিনি ভেঙ্গে পড়েননি বরং স্বতেজ ভালবাসাকে আঁকড়ে ধরে সামনে এগিয়েছেন। প্রতিনিয়ত সেই প্রীয়তমার প্রতিক্ষায় আছেন এবং শুক্রবারে তিনি প্রীয়তমার চীরনিদ্রায় শায়িত কবরে দৃষ্টিগোচর করে মনের ভাব আদান-প্রদান করেন।


সেই ছোট্ট আনিছুল হক শ্যানন থেকে মন্ত্রী আনিছুল হক হয়ে উঠার পিছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিবাচক এবং শিক্ষনীয় ইতিহাস। যা বাংলাদেশের মানুষ প্রকারান্তরে সবই জেনেছে। সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং সদালাপি সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের ধারক ও বাহক হয়ে বেড়ে উঠা মানুষটি আজ সব হারিয়ে যেন একা। কিন্তু তিনি একা নন; এলাকার জনগণ এবং আত্মীয়-পরিজন ও শুভাকাঙ্খিরা তাকে হৃদয়ের গভীরে আকড়ে ধরে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি হারিয়েছেন, স্ত্রী, বাবা, ভাই, বোন ও সর্বশেষ মা। দেশমার্তৃকার তরে এখন আপন বলতে তাঁর জনগনই। তিনি এলাকার জনগণের মধ্যে খুঁজে পান তার হারানো সকল রতœগুলুকে। বোনজামাই, ভাগিনা এবং ভাই’র স্ত্রী-সন্তানদের সাথে যুক্ত করেছেন কসবার প্রীয় জনগণকে। সেই জনগণের শক্তি ও সাহস এবং ভালবাসায় সিক্ত হয়েই দেশবরেণ্য এই ব্যক্তিটি একের পর এক ইতিহাস রচনা করে যাচ্ছেন।
জনাব হক সাহেবের ওকালতি জীবনের শুরু থেকেই একটি উচ্চ মার্গীয় ভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল। যা পিতা এডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া সাহেবের রেখে যাওয়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পরিচালনায় সম্পূর্ণরূপে ফুটে ওটে। তিনি ঐ মামলায় সাহস এবং বুদ্ধিদৃপ্ত কাজটুকু সম্পন্ন করেছেন, পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধি ও জেল হত্যা মামলায় বিশ্ববাসী তাকে প্রত্যক্ষ করেছে। দুর্যোগাচ্ছন্ন বাংলাদেশের পট পরিবর্তনের ১/১১এর সরকার যখন দেশ, জনগন এবং রাজনীতিকে পদদলীত ও রাজনৈতিকদের চরিত্র হননে ব্যতিব্যস্ত ঠিক সেই সময়েও জনাব আনিছুল হক তাঁর উচ্চ মার্ঘের ছাপ প্রত্যক্ষ করাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি প্রখ্যাত আইনজীবিদের তালিকার প্রথমে থেকে দুদকের আইনজিবি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কিন্তু সেই সময় সাহস ও সততার সর্বোচ্চটা তিনি ব্যবহার করে দেখিয়েছেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন যে, “আমি দুদকের আইনজিবি হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী কিন্তু শেখ হাসিনার মামলায় আমি কোন ভুমিকা রাখব না’ কারন তিনার সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোন মামলাই আমি প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়াব না।” হ্যা তিনি তাই করেছিলেন। সেই অপকটে বলা সত্যবাদি সাহসি মানুষটি সেদিন তার সততা ও সাহস এবং নির্ভয়ে পথ চলার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তবে সেদিন বা সেই সময় তার সঙ্গে ছায়া হয়ে কাজ করেছেন জনাব এডভোকেট রাশেদুল কাউছার জীবন সাহেব যিনি এই ব্যাপারে আরো ভালো বলতে পারেন।
এমপি, মন্ত্রী এবং রাজনীতিতে তিনি নতুনত্ব এনেছেন। সফলভাবে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সততার সাথে এমনকি সফলতার সাথে মোকাবেলা করে কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন সফল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম যুক্ত করেছেন। তিনি তাঁর তুলনা তাঁর সঙ্গেই করে মাপকাঠির একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাতির ক্রান্তিকালে তাঁর সততা, দুরদর্শীতা ও আন্তরিকতাসহ চৌকস বুদ্ধিদৃপ্ত কর্মফলের মাধ্যমে সরকারের স্থীতিশীলতার পরিধির ব্যপ্তি বৃদ্ধি করেছেন। সরকারের উন্নয়নের রোল মডেলের যাত্রা অব্যাহত রাখতে তাঁর অতুলনীয় ভূমিকা অব্যাহত রেখেছেন। চক্রান্তকারীদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন এবং দেশী ও বিদেশী চক্রান্তকে ধ্বংস করেছেন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা করেছেন আকাশচুম্বি। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে উচ্চাসনে অবস্থান করিয়েছেন। যা শুরু হয়েছিল পিতা-মাতার সর্ম্পকের মাধ্যমে আর তা আজ আরো অধিক উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছেন তাঁর মধ্যেকার প্রজ্ঞা আর বিশ্বস্ততার সমস্তটা উজার করে দিয়ে। তিনি পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে যে দুর্নাম বাংগালী জাতীর কপালে এটে দিয়েছিল তা মোচনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভুমিকা রেখেছেন এবং বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কলঙ্কের সেই আটানো তিলক মোচনে সক্ষম হয়েছেন এবং জাতিকে সম্মানের সুউচ্চ আসনে আসীন করাতে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ততার হাতকে শক্তিশালী করেছেন।
রাষ্ট্রের সকল দুর্বল আইনগুলোকে সবলে পরিণত করেছেন। যেখানে যেখানে সমস্যা বা প্রশ্নের জন্মদিয়েছিল সেখানেই তিনি কাজ করেছেন এবং সকল প্রশ্নের উর্ধে উঠে দেশ পরিচালনায় আইনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরই ছোয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তরগুলো স্বাধীন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। সরকারের ক্রান্তিকালে বলিষ্ট ভুমিকা পালনে নিজেকে আত্মউৎসর্গ করে সরকারের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন এবং জননেত্রী; বিশ্ব বিভেক; স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতার কান্ডারী গনতন্ত্রণের ও বিশ্ব মানবতার মাতা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন। এক কথায় কোথায় নেই আনিছুল হকের ছোয়া? ইতিহাসই স্বাক্ষী এবং ইতিহাসের প্রতিটি পাতাই পরিচয় করিয়ে দিবে আনিছুল হকের সৃজনশীলতার কৃর্তিগুলোকে। শেখ হাসিনার আস্থাভাজন, ¯েœহধন্য বিশ্বস্ত পারিবারিক বন্ধনের যে ক্রমানুপাতিক উন্নতি তা ভাষাতীত অথবা ভাষায় প্রকাশ করার মধ্যেই যথেষ্ট নয়। বরং এই শিক্ষা ও দিক্ষা থেকে আগামী প্রজন্মের কাজে লাগানোর মত পাঠ সিলেভাসাকারে প্রকাশিত ও প্রচারিত থাকবে।
জনাব আনিছুল হক কি শুধু দেশের কল্যাণেই ছুটছেন নাকি এলাকার দিকেও নজর রাখছেন। হ্যা তিনি এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে শেখ হাসিনার উপহার নিয়ে পৌঁছেছেন। প্রত্যেকের ব্যক্তি এবং পারিবারিক খোজ-খবর রাখছেন। সমস্যা সংকুল রাজনীতি, অর্থনীতি ও কর্মনীতিতে এনেছেন আমুল পরিবর্তন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া যা পায়নি এবং অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অর্জন করতে পারেনি সেই সকলই তিনি পুষিয়ে দিয়েছেন। একটু ঘুরে আসুন..না কসবা এবং আখাউড়ায়… তাহলেই দেখতে, বুঝতে এবং উপলব্দি করতে পারবেন উন্নয়ন কাকে বলে, সম্প্রীতি কাকে বলে, দল মত উদ্ধে উঠে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টিতে তাঁর জুড়ি নেই। তিনি রাজনীতিকে করেছেন কলুষমুক্ত, বিভেদ ও হানাহানির অবসান ঘটিয়ে দল মতের উর্ধে উঠে মানুষ সত্য এবং মানুষের কল্যাণে মানুষ হিসেবে ইতিবাচক ভুমিকার রাখার অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন কসবা আখাউড়ার মাটি ও মানুষকে। দলীয় বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটিয়ে ইতিবাচক মার্জিত নির্লোভ দল এবং অংগসংঠনগুলোকে সাজিয়েছেন। শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়ে কসবা ও আখাউড়াকে করেছেন আলোকিত। রাস্তাঘাট সংযোজন এবং সংস্কার ও নতুন সংযুক্তির মাধ্যমে যাতায়তের নবদিগন্ত উন্মোচন করেছেন। স্কুল-কলেজ, মাদ্রসার অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সরকারী করণের মাধ্যমে শিক্ষায় প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। মসজিদ, মন্দির মোট কথা ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে সাজিয়েছেন নতুন রুপে এবং এবাদতের শান্তি উপভোগে এমনকি অন্মেষনে নবযুগের সুচনা করেছেন। সরকারের উপহার প্রাপ্য ব্যক্তির হাতে পৌঁছে দিতে নজিরবীহিন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল এমনকি বিভিন্ন কমপ্লেক্স ও জনতার কল্যাণে ইতিহাসের স্বাক্ষীস্বরূপ স্থাপনা এবং সেবার মানোন্নয়নে রেখেছেন স্বর্ণোজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত। ঘরে ঘরে চাকুরির ওয়াদাপূরণে নিজের নাম ইতিহাসে নতুন করে লিখিয়েছেন। ঘুষবিহীন সরকারী চাকুরী দিয়ে সৃষ্টি করেছেন নজিরবীহিন রেকর্ড। বেসরকারী চাকুরী অথবা শিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগীতা অব্যাহত রেখে নতুন এক শুভযুগের দিশা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়কে শতভাগ সফলতা দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মানুষের মৌলিক চাহিদার যোগানে কাজ করে যাচ্ছেন।
যেখানে টেন্ডারে প্রয়োজনীয় কাজের টাকার যোগান হচ্ছেনা সেখানেই তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে টাকা ব্যায় করে কাজ সমাপ্ত করেছেন। তাঁর সৃষ্টি সততার পুজারি বিশিষ্ট জনেরা তাঁর অভিপ্রায়কে শতভাগ সফলতা দিয়ে নতুন এক রাজনৈতিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। হিংসা এবং মারামারির যুগ শেষ, নেতিবাচক রাজনীতির যুগ শেষ, নিজের আখের গোছানোর দিন শেষ, সর্বোপরি সেবকের দিন শুরু এবং এই সেবকের যাত্রাকে গৌরবান্বিত করেছেন জনাব আনিছুল হক তার সততা, মেধা, দুরদর্শীতা এবং যোগ্য সহযোদ্দা নির্বাচনের মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে জনাব আনিছুল হক সাহেবের ছায়া হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন জনাব এডভোকেট রাশেদুল কাউছার জীবন, যিনি বর্তমানে কসবা উপজেলা চ্যয়ারম্যান। এখানে একটি বিষয় যুক্ত করতে চাই যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘৃনীত ঘাতকদের দ্বারা হারিয়েছেন তাঁর পরিবারের প্রীয় সদস্যদের; আর আনিছুল হক সাহেব মৃতরাজ আজরাঈল (আ:) দ্বারা হারিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যদের। এই দুই হারানোর বেদনায় যুক্ত দেশবাসী, এলাকাবাসী এবং এই দুইয়ের ইচ্ছা, আকাঙ্খা ও ধ্যান-জ্ঞান দেশ ও জনগনের সেবা এবং কল্যানে। তাদের কারোরই পাওয়ার আকাঙ্খা নেই শুধুই দেয়ার আকাঙ্কা এবং দিয়ে যাচ্ছেন, দেশকে এবং দেশের আপামর জনসাধারণকে। আর বিশ্বকে দিয়ে যাচ্ছেন সেবার এক জলন্ত সুউচ্চ মানদন্ড; শিখিয়ে এবং দেখিয়ে যাচ্ছেন আগামীর কল্যাণের পথ ও মত।
জনাব আনিছুল হক সাহেবের গ্রহনযোগ্যতা এখন গগনচুম্বি। তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। জাতি এবং রাষ্ট্র ও সৃষ্টিকর্তা সর্বোতভাবে তাকে আরো উন্নত এবং সম্মানের সু-উচ্চ আসনে আসীন করাবেন এটা নিশ্চিত। তিনি দেশকে শেষদিন পর্যন্ত সেবাদিয়ে যাবেন এটাই আমাদের সকলের কামনা। রাষ্ট্রপতি হিসেবে আগামী দিনে দেশ, দল এবং এলাকার জনগণের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন এটা আমাদের আশা ও বিশ্বাস। এগিয়ে নিয়ে যাবেন আরেকটি নতুন ইতিহাসের দৃষ্টান্ত। বিশ্ব দেখবে সব হারানোর বেদনা ভুলে সেবার মহান ব্রতকে বাস্তবে রূপদান করে নতুন এক দৃষ্টান্তের মানদন্ড স্থাপন করবেন আগামীর তরে। এই হউক আমার আপনার সকলের চাওয়া ও ঐকান্তিক পাওয়া। জয় আমাদের হবেই এবং এটা সুনিশ্চিত। মহান আল্লাহর দরবারে সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে আগামীর দ্বীতিয় পর্ব লিখার প্রত্যাশায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.