প্রশান্তি ডেক্স ॥ ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমিককে বশীকরণ করতে কথিত এক কবিরাজের কাছে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। গত মঙ্গলবার বিকালে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চৌহাট এলাকায়। এ ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গত মঙ্গলবার রাতে ভুওই কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সকালে ধর্ষক ওই কবিরাজকে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ধর্ষক ওই কবিরাজ চৌহাট গ্রাামের মৃত ওয়ারেজ আলীর ছেলে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ভিকটিম ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর সঙ্গে অপর এক তরুণের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি হঠাৎ করে তাদের ভালোবাসার মাঝে চিড় ধরে। কোনোভাবেই সে তার প্রেমিককে বাগে (বশে) আনতে পারছিলেন না। তাই ওই তরুণী নিরুপায় হয়ে তার প্রতিবেশী এক ভাবির কথা বিশ্বাস করে গত মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে চৌহাট গ্রামের ছালাম কবিরাজের কাছে যান।
তরুণীকে দেখে লালসা জাগে ওই কবিরাজের মনে। সে ওই তরুণীকে কৌশল অবলম্বন করে বলে তাকে (প্রেমিক) যদি পেতে চাস তাহলে আলাদা কক্ষে গিয়ে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে চোখ বন্ধ মনের আয়নায় ছবি জল্পনা-কল্পনা করবি। দেখবি সে তোর কাছে চলে আসবে। তবে সাবধান ওর কোনো কাজে বাধা দিস না। বাধা দিলে তাহলে জীবনে আর কোনোদিন তাকে পাবি না। কথাটা মনে রাখবি।
কবিরাজের কথায় ওই তরুণীর মনে সন্দেহের দানা বাঁধলেও আসন ঘরের পাশেই একটি রুমে গিয়ে বিবস্ত্র হয়। এ সুযোগে ওই কবিরাজ রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না জানাতে তন্ত্রমন্ত্রের ভয় দেখায় ওই কবিরাজ।
পরে ওই তরুণী কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. রাসেল মোল্লর কাছে ধর্ষক ওই কবিরাজের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
পরিদর্শক রাসেল মোল্লা বিষয়টি ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে অবহিত করলে এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয় কবিরাজ ছালামের নামে। কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. রাসেল মোল্লা বলেন, প্রেমিককে বশীকরণ করতে গিয়ে কবিরাজের লালসার শিকার হয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই তরুণী। এ ব্যাপারে ওই তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন এসআই আবু সাইয়িদ।
তিনি জানান, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ওই কবিরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।