নীতি ও নৈতিকতা আজ কোথায়? মানুষ নীতি ও নৈতিকতাকে ভূলে বা পাশ কাটিয়ে দ্রুতলয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অভীষ্ট লক্ষ্যের শেষ গন্তর্ব্যে পৌঁছতে। তবে এই কি শেষ; আর শেষ গন্তর্বইবা কি এই কথাটি কি জেনে বুঝে দৌঁড়াচ্ছেন? নাকি না বুঝেই গতিময়তা নিয়ে এগুচ্ছেন? বিশ্ব এখন দৌঁড়াচ্ছে শয়তানের লক্ষ্য বাস্তবায়ন বা পূরণের নির্মিত্তে। সেই লক্ষ্যে আপনিও কি যুক্ত হয়েছেন? আর যদি হয়েই থাকেন তাহলে একটা বিরতি নিয়ে একটু ভেবে দেখেনতো এতে আপনার ফায়দা কি আছে? আদৌকি আপনি কিছু পাবেন যা দিয়ে বাকি জীবন প্রশান্তি অনুভব করে নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা, শান্তি এবং আনন্দে কাটাতে পারবেন এমনকি পৃথিবীতে নিজেকে সকল বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন? আর কেউকি পেরেছেন?
হ্যা আমি আপনাকে, আমাকে এবং সকলকেই বলছি। একটু ভাবুন এবং হিসেব নিকেশ মিলিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চেষ্টা করুন। দৃষ্টিসীমার মধ্যে যা দেখছি তাকে পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হচ্ছি যে, নিতিকে হারিয়ে ফেলেছি, নৈতিকতাকে পাশ কাটিয়ে নতুন এক অনৈতিকতার এমনকি নিতিবীহীন ব্যবস্থায় পসরা সাজিয়ে সমাজ সংসারে বিরাজমান রাখছি। এই নিতি ও নৈতিকতাকে পুনরুদ্ধারে কাজের সময় এখন। করোনা আমাদেরকে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অগ্রসর হতে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে এবং চেতনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা কি সেই চেতনায় সাড়া দিচ্ছি অথবা বাস্তবতার কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছি? না অবস্থাদৃষ্টে তা মনে হচ্ছে নিচ্ছি না বা যারা নিচ্ছি তারা মহাসাগরে হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছি কুলের আশায়। হ্যা তবে কুলের দেখা পাবে নিশ্চিত যদি ঐক্যবদ্ধভাবে সাতার কাটতে আরম্ব করি।
অফিস আদালতে যে অবস্থার প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে তা খুবই বিব্রতকর এবং নিতি ও নৈতিকতার পরিপন্থি। মনে হচ্ছে বুবুক্ষরা এখন আরো সুযোগ নিচ্ছে আগামীর পুজি সংগ্রহের সংগ্রামে। তবে দুনিয়াবী পুজিতে কিই হবে আর যে পুজির চিরস্থায়ী আবাস, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা এমনকি নিশ্চয়তা রয়েছে তার দিকে মন ফিরাতে অনাগ্রহী হয়ে আরো বিমুখতা বিরাজমান রাখতে। উপকার, দায়িত্ববোধ, কর্মকান্ড পরিচালনায় এখন অর্থ ও সুযোগই প্রাধান্য পাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা আপাত দৃষ্টিতে অনুধাবন করা যাচ্ছে না। এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, করোনায় যারা মারা গেছে তারা আপাতত এই সমূহ বিপদ থেকে রক্ষ পেয়েছে কিন্তু যারা করোনার থাবা থেকে বেঁচে ফিরেছে এমনকি করোনার ছোয়া স্পর্শও করতে পারেনি তাদের জন্য আগামীতে রয়েছে কঠোর ও কঠিন পরিক্ষা। এই পরীক্ষা থেকে উর্ত্তীর্ণ হওয়ার মাপকাঠি কি হওয়া উচিত?
বিশ্ব পরিমন্ডলে যে হা হা কারের শুন্যতা বিরাজ করছে সেখানে কিভাবে শুন্যতা পুরণের মনোমুগ্ধকর শান্তির আবেশের পুনজাগরণ গঠানো যায় সেই দিকে নজর দেয়ার সময় এখন। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো সুরক্ষিত করতে বা পুনরুজ্জিবীত করতে যে সকল কাজ এখনও সম্পন্ন করা হয়নি বা যে সকল চিন্তা এখনও করা হয়নি সেগুলিকে সংঘবদ্ধভাবে একত্রিত করে কাজের সমন্বয় ঘটাতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। দয়া-মায়া, আন্তরিকতা, ক্ষমা, ভালবাসা, আবেগ পুনরুদ্ধার কাজে নেমে পড়তে হবে। যা হারিয়েছি তা ফিরে পেতে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে করে অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করতে পারি। সম্মানিতজনকে সম্মান করতে হবে; জাগতিক কোন লোভের বশবতি হয়ে কাউকে অসম্মান করা যাবে না। ক্ষমতার দাম্বিকতার ব্যবহার বেশীদিন থাকে না তাই ক্ষমতাকে সর্বসাধারণের কল্যাণের নিমির্ত্তে ব্যবহার করতে হবে।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, “আমার সরকার জনগণের সেবক সরকার”। হ্যা ইহাই হওয়া কাম্য এবং দরকার। ওনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সঠিক কিন্তু সকলেই যদি ওনার কথার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝে অগ্রসর হয় তাহলে সেবকের সেবায় পৃজিত হবে দেশ। অন্যার্য্য এবং অনৈতিকতা ও নীতি পুনরুদ্ধার হবে। শান্তি-স্থিতিশীলতা এবং নিশয়তা ও নিরাপত্তা, সর্বোপরি আশা পুনজাগ্রত হয়ে বিরাজমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ঐ বক্তব্যের সঙ্গে কে না একমত পোষণ করবে?! আমার জানামতে সকল মানুষই (আশ্রাফুল মাকলুকাত) এই দাবির প্রতি সমর্থন যোগাবে এমনকি এই বক্তব্য কিন্তু স্বয়ং খোদা তায়ালার। তাই খোদায় স্বয়ং এবং বক্তব্য বাস্তবায়নে সহযোগীতা স্বয়ং খোদা নিজেই করবে। খোদার অভিপ্রায় বাস্তবায়নে যারা যারা এগিয়ে যাবে তাদের দেখাশুনা ও পরিচালনা করার দায়ীত্ব স্বয়ং খোদা নেন এবং দৃষ্টান্ত ও উদাহরণ হিসেবে পৃথিবীতে আগামীর কল্যানের তরে ব্যবহার করেন ও করবেন। ক্ষমতা ও পদ এমনকি শাষনভার আল্লাহর কাছ থেকে আসে। আর ঐ আল্লাহ হতে আসা জিনিস জনগণের জন্য বিনামূল্যের দানস্বরূপ। তাই সেবার মানষিকতায় পরিপূর্ণ হওয়ার এখনই সময়।
আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং দয়ালু তাই তার রহমতপ্রাপ্তরা ক্ষমা এবং দয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে সেবার কাজ্যে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সেবার কাজে নিতি ও আদর্শ এবং নৈতিকতাকে সুপ্রতিষ্ঠীত করাই এখন শাসনকর্তাদের করনীয়তে প্রাধান্য পাওয়া উচিত। কোন ক্রমেই ক্ষমতার ব্যবহারে ক্রোধ কিংবা ঘৃণার বহি:প্রকাশ ঘটানো যাবে না বরং ক্রোধ ও ঘৃনাকে ক্ষমা এবং ভালবাসায় পরিণত করে সকল কাজে প্রাধান্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। বিশ্বকে সকল জঞ্জাল থেকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় হলো ক্ষমা এবং ভালবাসার মাধ্যমে কাজে মনোনিবেশ করা। আসুন আমরা এখন নিজেদেরকে ক্ষমা এবং ভালবাসায় সাজিয়ে তুলি এবং বিশ্বকে নতুন আঙ্গিকে এগিয়ে যাওয়ার বাস্তবতায় নিয়োজিত রাখি। আমাদের সকল প্রচেষ্টাই ক্ষমা এবং ভালবাসা ও সেবকের মানুষিকতা অব্যাহত রাখি। আগামীর কল্যাণের তরে নিজেদেরকে প্রস্তুত করি এবং প্রত্যেকে স্ব স্ব উগ্যোগে শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা এবং ইতিবাচক সকল আশার সঞ্চার ঘটিয়ে মৌলিক উপাদান সুনিশ্চিত করি।