রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সর্বোচ্চ তৎপরতা নিশ্চিত করুন;আইজিপি

প্রশান্তি ডেক্স ॥ পুলিশকে এক ধরনের যুদ্ধের সাথে তুলনা করে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেছেন, অপরাধ দমন ও শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হয়।
কক্সবাজার জেলায় সরকারি সফরের অংশ হিসেবে গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সৈকত ফাঁড়িতে টুরিস্ট পুলিশের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার জেলায় কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়ে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, পুলিশকে জনগণের ভরসাস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রায় চার ঘণ্টা স্থায়ী মতবিনিময় সভায় পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ বলেন, পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা ইস্যু কক্সবাজারের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি। তিনি বলেন, দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলার প্রতি রোহিঙ্গা ইস্যু যেনো কোনোভাবেই হুমকির কারণ হয়ে না হয়। দেশের স্বার্থে সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে।
তিনি বলেন, এখানে গতানুগতিক পুলিশিংয়ের পরিবর্তে গোয়েন্দা তথ্য নির্ভর পুলিশ করতে হবে, নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ ইউনিটের চলমান কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা আইজিপির সামনে তুলে ধরেন। কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় এপিবিএনের অতিরিক্ত আইজি মো. মোশারফ হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেনসহ জেলা পুলিশ, এপিবিএন, টুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, সিআইডি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং অন্যান্য ইউনিটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.