প্রশান্তি আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন রাশিয়ার সম্পদ। কারণ তিনি রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির একজন এজেন্ট। ৪০ বছর ধরে তাকে গড়ে তুলেছে কেজিবি। গত ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘আমেরিকান কোমপ্রোম্যাট হাউ দ্য কেজিবি কাল্টিভেটেড ডোনাল্ড ট্রাম্প, অ্যান্ড রিলেটেড টেলস অব সেক্স, গ্রিড, পাওয়ার অ্যান্ড ট্রিচারি’ নামক বইয়ে চাঞ্চল্যকর এসব দাবি করেছেন লেখক ক্রেইগ উনগার। ডেইলি মেইল। বইটিতে বলা হয়, ১৯৭৬ সাল থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ রাশিয়া ও কেজিবির। ওই সময় তিনি রিয়েল এটেস্টের ব্যবসা কুইন্স থেকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেন। একে কেন্দ্র করেই রাশিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে।
তারপর ১৯৭৭ সালে ট্রাম্প চেক বংশোদ্ভূত ইভানা জেলনিকোভাকে বিয়ে করলে তার ওপর নজরদারি শুরু হয়। ট্রাম্প তখন একদিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখতে ও সে বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে ট্রাম্প ও ইভানা রাশিয়ার সেন্ট পিটাসবার্গের প্যালেস স্কয়ার সফর করেন। ক্রেইগ উনগারের দাবি, তখন থেকেই রিয়েল এস্টেট ব্যবসার উদ্দেশ্যে ট্রাম্পের নামে বিভিন্ন ভবন নির্মাণে রাশিয়ার সহযোগিতা শুরু হয়। মস্কোয় ট্রাম্প হোটেল নির্মাণের প্রস্তাবের আওতায় ব্যবসায়িক ছদ্মবেশে কেজিবির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ওই সময় দাওয়াত করে ট্রাম্প দম্পতিকে রাশিয়ায় নিয়ে যায়। তারপর ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকজুড়ে ট্রাম্পের ব্যবসার পাশে দাঁড়ানো শুরু হয় কেজিবির। এমনকি ট্রাম্পকে কয়েকবার দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা করেছিল রাশিয়া। একাধিকবার ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সরাসরি অর্থ দিয়ে তার ব্যবসা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে মস্কো। স্বাভাবিকভাবে, যে কোনো দানেরই প্রতিদান দিতে হয়। লেখক উনগারের দাবি- ‘ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়া তথা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তার ঋণ পরিশোধের সময় চলে আসে। ফলে পুতিনকে ট্রাম্পের তা-ই দিতে হয়েছে, যা তিনি চেয়েছিলেন।’ আমেরিকান কোমপ্রোম্যাট বইতে দাবি করা হয়, বন্ধু জেফেরি এপস্টেইনের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ চালাতেন ট্রাম্প। এপস্টেইন সিলিকন ভ্যালিতে ও রাশিয়ানদের জন্য কম বয়সি মেয়ে সরবরাহের কাজ করে থাকে।