মানুষের বিশ্বাস ও ভরসা যখন টিকার উপর বর্তায়েছিল তখন শুধু টিকা আবিস্কারের খবরের প্রত্যাশায় ব্যস্ত ছিল পৃথিবীব্যাপী সকল মানবকুল। কিন্তু টিকা আবিস্কার এবং সফল প্রয়োগ ও বাজারজাতকরণে সফলতা পেয়ে যখন প্রতিটি ঘরে ঘরে টিকা পৌঁছেছে ঠিক তখনই আবার শুরু হয়েছে সন্দেহ নামক নতুন এক আতঙ্ক। আর এই আতঙ্কের পিছনেও রয়েছে মানুষেরই ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রে যারা যুক্ত হয়েছে অথবা ভবিষ্যতে হবে তারা কিন্তু রাজনৈতিক, ব্যাবসায়ীক এমনকি ব্যক্তিস্বার্থের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যদি আমরা একটু ঠান্ডা মাথায় পারিপাশ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে চিন্তা করি তাহলেই পরিস্কার বুঝতে পারব তাদের ঐ নোংরা ষড়যন্ত্র। বিশ্ব নেতিবাচক রাজনীতির সঙ্গে ব্যবসানীতি যুক্ত হয়েছে আর আমাদের দেশে অতীতের ঘুনেধরা নীতিগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় বোকামীতে পর্যবসীত আকারে এখন একটু আধটু প্রয়োগের লক্ষ্যে টিকার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।
টিকা যদি সরকার ব্যবস্থা করতে না পারত তাহলে নেতিবাচক শব্দবোমায় বাংলাদেশ জর্জরিত হতো এমনকি ভুমিকম্পের মত ক্ষতও সৃষ্টি হতো। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় হলো সরকার জনগণের কল্যাণের তরে সঠিক কাজটুকু সঠিক সময়েই সম্পন্ন করেছে। তাই ঐ নেতিবাচক শব্দবোমার আঘাত থেকে অন্তত এবার এই দেশের মানুষ রক্ষা পেয়েছে। তবে নেতিবাচক ষড়যন্ত্র থেকে এখনও পুরোপুরি রক্ষা পায়নি। তাই ঐ মতিভ্রম মানুষগুলো এখন বিভিন্ন আঙ্গিকে চিকনস্বরে আবোল-তাবোল বকে যাচ্ছে। আর এতে সাধারণ অসচেতন মানুষগুলোর মনে সন্ধেহের দানা বাধছে। তাই সন্দেহ দুর করার নিমিত্তে যা যা করনীয় তাই সরকার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সচেতন মানুষগুলো করে যাচ্ছে। একটি কথার উদৃত্তি দিয়ে বলতে চাই যে, শৈশবে শুনেছি “বড়ি বললেও মরি আবার টরি বললেও মরি” মোট কথা বললেও মরি না বললেও মরি। এই দশায় এখন সরকার ও জনগণ। কারণ ঐ নরপিচাস ষড়যন্ত্রকারীরা নেতিবাচক মনোভাব পোষন এবং এর ব্যবহার থেকে সড়ে আসতে পারেনি। সরকারের দশা হলো টিকা আনলেও বিপদ আর না আনলেও বিপদ। যদি জনগনের প্রয়োজন মিটানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয় তাহলেও বিপদ আর যদি সরকারের প্রয়োজন মিটিয়ে জনগনের কথা ভাবা হয় তাহলেও বিপদ। যাই কোথায়? সবই এখন জনগণের জন্য এবং জনগণকেই পদক্ষেপ নিয়ে ঐ নোংরামনের নেতিবাচক লোকদের নেতিবাচকতা দূর করতে হবে।
সরকারকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা এবং সাধুবাদ জানাই যে, তারা নিজকল্যানের চেয়ে জনকল্যানকেই বেঁছে নিয়ে এগুচ্ছে। আর এটাই হলো গণতন্ত্র এবং সেবক সরকারের দ্বারা কাম্য। তবে একটি বিষয় অত্যান্ত দু:খের যে, মানুষ এই টিকানির্ভরতার যুগে দিনে দিনে সৃষ্টিকর্তাকে ভুলেযাচ্ছে। নতুন এক সৃষ্টিকর্তা বিহীন পৃথিবীর যাত্রালগ্নে পা রাখতে এগুচ্ছে। তাই সাবধান! টিকা নয় বরং সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস, নির্ভরতা এবং আস্থা স্থাপনে মনোনিবেশ করুন। তিনিই আপনাকে এবং আমাকে ও আমাদের সকলকে সুরক্ষা সুনিশ্চিত করবেন। অনেক প্রামান পৃথিবীতে বিরাজমান রয়েছে যে, সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ তায়ালা; খোদা তায়ালা) মৃতকে জীবন দিয়েছেন, অন্ধকে চোখে য্যুতি ফিরিয়ে দিয়েছেন, কুষ্ট বা পক্ষঘাতযুক্তকে সুস্থ করেছেন এমনকি অনেক অসম্ভবকে সম্ববে পরিণত করেছেন এবং করে যাচ্ছেন ও যাবেন এই ব্যাপারে আগামীতেও করার সুস্পষ্ট নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তাই আসুন সর্বময় ক্ষমতার মালিক এবং সুরক্ষা, নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা ও যাবতীয় যোগানের যোগানদাতার স্মরণাপন্ন হই\
আমাদের দেশে অতিরিক্ত স্বাধীনতা ভোগে মানুষজন বেসামাল হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থা যখন সচল হওয়ার উপক্রম ঠিক তখনই ঐ বেসামাল মানুষগুলো গায়ে মানে না আপনি মোড়ল সেজে কুঠারাঘাত করা শুরু করেছে। স্বঘোষিত নেতা সেজে সামগ্রীক জনগণের দায়িত্ব নেয়ার মহা অন্যায় কাজটুকু করে যাচ্ছে। সরকার যেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল করার একটি প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে ঠিক তখনই ঐ মানুষগুলো বিভিন্ন নামে বেনামে স্কুল বন্ধের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। দেখা যাচ্ছে সরকারও ঐ ভুয়া মানুষগুলোর ফাঁদে পা দিচ্ছে যার দরুন তারা তাদের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে নতুন ছুটি ঘোষণা করেছে। এটিই আমার এই স্থিতিশীল এবং দুরদর্শী সরকার দ্বারা প্রত্যাশা করা খুবই কষ্টের এমনকি ভবিষ্যত নষ্টেরও বটে। সরকার তার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে এবং কুচক্রিমহলকে প্রতিহত করবে এটাই কামনা করি। সরকারের সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নিয়েছিল এবং জনগণের অভিপ্রায়ও ছিল যা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাই। কিন্তু জনগণের অভিপ্রায়কে কুঠারাঘাত করে বসেছে ঐ আগাছাগুলো। এখনও সময় আছে পুর্বসিদ্ধান্তে ফিরে যাওয়ার এবং জনগনের আকাঙ্খা পুরনের তরে কাজ করার। আশা করি বিচক্ষণ সরকার সকল ক্ষেত্রে বিচক্ষনতার পরিচয় বহনের দৃষ্টান্ত শিক্ষা ক্ষেত্রেও বহমান রাখবে। সকল ষড়যন্ত্রী ও কুচক্রিমহল পিছনে হটে গঠনমুলক ও ইতিবাচক কর্মকান্ডে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় জ্ঞানের ও জানার যে দুরত্ব সৃষ্টি করোনা দ্বারা হয়েছে তারচেয়ে বেশী সৃষ্টি করেছে ঐ কুচক্রি ও ষড়যন্ত্রীমহল। তবে শিক্ষার ফারাক ঘুচিয়ে তুলে কাটিয়ে উঠার জন্য বিশ্বব্যবস্থার দিকে না তাকিয়ে বাংলাদেশ তার নিজস্ব চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা ডিজিটাল অগ্রগতির ক্ষেত্রে ক্রমশ পিচপা হওয়া ছাড়া কোন গতি থাকবে না। গঠনমুলক সচেতনতা ও সুশিক্ষার সুশৃঙ্খলতা বিরাজমান রাখার প্রত্যয়ে যে প্রচেষ্টা বা চর্চা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রই হলো শিক্ষাঙ্গন যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজ এমনকি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অংগন। আজ এইসকল অঙ্গনে ঝুলছে তালা এবং গুনে ঝংকার পড়ে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার প্রসারে জ্ঞানের অগ্রযাত্রার ত্রিমাত্রিক ধারাবাহিকতা। আসুন আমরা সকলে মিলে ঐ শিক্ষাঙ্গনগুলোকে সাজিয়ে তুলি পুর্বের ক্রমানুপাতিক গতিশীল জ্ঞান আহরণের ধারাবাহিকতায়। সেই বিখ্যাত উক্তিটি আজও বাস্তবতায় পরিপূর্ণকরণে এগিয়ে যাই। “আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব”। করোনাতঙ্ক আর নয় বরং করোনাকে প্রতিহতের ডাকদিয়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাই আগামীর তরে। দুনিয়াবী শিক্ষাকে আখেরাতের শিক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বকে জয় করি যেন বিশ্ব আর ভয়ের কবলে নিমঘœ না থাকে। নেতিবাচক সকল করালঘ্রাস দুর করে ইতিবাচক সকল দৃষ্টিভঙ্গির কাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সচল করে এগিয়ে যাই আগামীর কল্যাণের তরে। জয় হবেই আমাদের এবং খোদা আমাদের সহায় হবেন এটাই নিশ্চিত। খোদার অভিপ্রায়ে এগিয়ে যাবো আগামীর তরে এবং বিশ্বকে করব সকল ভয়ের কবল থেকে মুক্ত। বিশ্ব হবে আতঙ্কমুক্ত; এবং মানুষ হবে সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক; আগামীর দিশা; সকল কিছুর আশা। আশা আছে ছিলো এবং থাকবে।