প্রশান্তি ডেক্স ॥ বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বছরের পর বছর ধরে পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না (পিআরসি) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করে চলছে। বৈধ ও অবৈধভাবে চায়না এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হাতিয়ে নেওয়া এসব স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য একটি মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) সতর্ক বাণী দিয়ে বলেছে, ‘মার্কিনিদের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য, বিশেষ করে ডিএনএ সম্পর্কিত তথ্য হাতিয়ে নিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রচেষ্টা, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে আরো বেড়ে গেছে’।
অ্যামেরিকান ডেইলি বলছে, করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার এই সময়ে চীনের তৎপরতা বেড়ে গেছে বলে মনে করে এনসিএসসি। চীনা বায়োটেক গ্রুপ বিজিআই বেশিরভাগ দেশকে করোনা পরীক্ষার কিট সরবরাহ করছে এবং সেসব দেশের নাগরিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য দেশটি গত ছয় মাসে ১৮ টি পরীক্ষাগার স্থাপন করেছে বলেও দাবি উঠেছে। এনসিএসসি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে বৈচিত্র থাকার কারণে এবং দেশটির তুলনামূলকভাবে শিথিল সুরক্ষার কারণে চীনের কমিউনিস্ট সরকারের কাছে তা আকর্ষণীয় লক্ষ্য।
সংস্থাটি মনে করে- চীন সরকার অনুধাবন করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে নতুন আবিষ্কার সহজ হবে। আর তা বাণিজ্যিকসহ নানা রকমভাবে ব্যবহার করা যাবে। মার্কিন সংস্থাটি এ ব্যাপারেও সন্দেহ করেছে যে, চীন বিশ্বজুড়ে করোনা পরীক্ষার কিটগুলোকে ‘আগ্রাসীভাবে’ বাজারজাত করতে এবং বহু দেশে ল্যাব স্থাপনের জন্য মহামারির সুযোগ নিয়েছে।