প্রশান্তি ডেক্স ॥ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। দেশটি বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এরই ধারবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্যের ক্ষেত্রে জাপান আমাদের কারিগরি সহায়তা দেবে। গত বুধবার সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি জাইকার মধ্যে ট্যাকনিকেল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। খাদ্যে ভেজাল ও দূষণ রোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
নজর অ্যাপের মাধ্যমে অত্যাধুনিক মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অপ্রগতি দেখার মতো। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর অডিটোরিয়াম হলে এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই নাওকি ইতো। অনুষ্ঠানে রেকর্ড অব ডিসকাসনে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম এবং জাইকার প্রতিনিধি ইয়োহু হাইকাওয়া। অনুষ্ঠানের বক্তারা জানান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করছে। দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাই কর্তৃপক্ষের মূল লক্ষ। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত তিনটি বিধিমালা ও আটটি প্রবিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কাজের গতি বাড়াতে জনবলও বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, জনবলের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ১০২ জন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে দক্ষ জনবল নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। জনসচেতনতার জন্য উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার ও ক্যারাভান রোড শো’র উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ই আর ডি এর অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার।