‘বঙ্গভ্যাক্স’ আবিষ্কারক কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানা দেশের গর্ব;তথ্যমন্ত্রী

প্রশান্তি ডেক্স ॥ করোনার টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ আবিষ্কারক দলের নেতা কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানাকে বাংলাদেশের গর্ব হিসেবে অভিহিত করে অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সচিবালয়ে গত বৃহস্পতিবার তথ্যমন্ত্রী দেশি সংস্থা গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণাগারে বাংলাদেশের প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারক দলের প্রধান এ দুই বিজ্ঞানীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বৈঠকে তাঁদের অভিনন্দন জানান। এ ভ্যাকসিন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গভ্যাক্সের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সিঙ্গেল বা একক ডোজ টিকা। বিশ্বের অনেক টিকাই একাধিক ডোজের। কিন্তু এটি একক ডোজের হওয়ায় একবার নিলেই যথেষ্ট। এটি এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের ইথিকস কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সমস্ত পরীক্ষা-অনুমোদন সম্পন্ন করে অতি দ্রুত এ ভ্যাকসিন জনগণের জন্য প্রয়োগের দিকে এগিয়ে যেতে পারব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বিজ্ঞানীদের এ বিষয়ে গবেষণার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং এ দুই বিজ্ঞানীসহ তাঁদের দল সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অতি অল্প সময়ে এ আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানাকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এ দুজনই আমার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ রসায়নের ছাত্র, তাদের জন্য বিশেষ গর্ব অনুভব করি। তারা প্রকৃতপক্ষে দেশের গর্ব।’ ‘ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভ্যাকসিন আসবে না— অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণ করে সময়মতো ভ্যাকসিন এসেছে, সব জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।’
‘আমরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, কবে বঙ্গভ্যাক্স আসবে এবং আমরা তখন অন্য দেশকেও এ ভ্যাকসিন দিয়ে সহায়তা দিতে পারব’, বলেন তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কিছু রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবীর বক্তব্যে ও কিছু বিদেশি মিডিয়ায় করোনাকালে অনাহারে মৃত্যুর যে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সরকার প্রায় সাত কোটি মানুষকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছে, ১ কোটি ২৫ লাখ খাদ্য-প্যাকেট বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ।’ কাকন নাগ ও নাজনীন সুলতানা তাঁদের বক্তব্যে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণাগারকে আন্তর্জাতিক মানের বলে বর্ণনা করেন এবং মুজিব বর্ষের মধ্যেই ‘বঙ্গভ্যাক্স’ জনগণের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, তথ্যসচিব খাজা মিয়া এবং সাবেক মুখ্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবদুল করিম সভায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিইউ) অধ্যাপক মনির উদ্দীন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, সিইউ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.