প্রশান্তি ডেক্স ॥ পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় পরিবারের ওপর ক্ষোভে ও অভিমানে একসঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন প্রেমিক-প্রেমিকা। গত বুধবার সন্ধ্যার পর গ্রামের মাঠে ভুট্টাক্ষেতে গিয়ে তারা একসঙ্গে বিষপান করেন। দুজনকে উদ্ধার করে নেওয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। তারা হাসপাতালের ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের চৌধুরীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ট্রাক হেলপার সাগর (২৭) বছর
দশেক আগে একই গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে রয়েছে সাত বছরের এক ছেলে।
অন্যদিকে সাগরের মামাতো শ্যালক মামুন বছর ছয়েক আগে বিয়ে করেন একই উপজেলার উজিরপুর গ্রামের আছের আলীর মেয়েকে। তাদের সংসারে পাঁচ বছরের এক ছেলে ও তিন বছরের এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই শ্যালক মামুনের স্ত্রীর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে সাগরের। একপর্যায়ে তা পরকীয়া সম্পর্কে গড়ায়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই তাদের শুধরানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাক সেটি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িও চলে যায় সেই প্রেমিকা। গত বুধবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের পর সন্ধ্যায় জয়রামপুর গ্রামের মাঠে ভুট্টাক্ষেতে গিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে একসঙ্গে বিষপান করেন। এ সময় তারা কাফনের কাপড় কেনার জন্য মোবাইল ফোনে স্বজনদের জানান।খবর পেয়ে নিকটাত্মীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাগর বলেন, মামাতো শ্যালক মামুনের স্ত্রীর সঙ্গে আমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে পরিবারের লোকজন খুব অশান্তি করে। ফলে আমরা দুজনে সিদ্ধান্ত নিই একসঙ্গে আত্মহত্যা করব। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রেমিকা বলেন, বছর চারেক ধরে সাগরকে নিয়ে আমার পরিবারে অশান্তি চলছে। সাগরের সঙ্গে আমার শুধু ননদাইয়ের মতোই সম্পর্ক ছিল। তার পরও সাগরের সঙ্গে আমার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই নির্যাতন করে। দুই মাস আগে আমি বাপের বাড়ি চলে যাই। সপ্তাহখানেক শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ৩-৪ দিনও থাকতে পারিনি। অবশেষে সাগরের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে গত বুধবার সন্ধ্যার পর আবারও জয়রামপুরে যাই। রাতে গ্রামের মাঠে ভুট্টাক্ষেতে গিয়ে দুজনে একসঙ্গে বিষপান করি।