কসবায় আকিকা অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় প্রতিকার চাইলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবার গোপিনাথপুর ইউনিয়নে জেঠুয়ামুড়া গ্রামে আকিকা অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গত বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কসবা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন এবং কাঁদলেন হাবিবুর রহমান মোল্লা নামক একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। তিনি এ ঘটনায় আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে হাবিবুর রহমান জানান; গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলার জের ধরে তারই গোষ্ঠির আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ফারুক মোল্লা ও সবুজ মিয়ার নেতৃত্বে তার নাতির আকিকা অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালায়। এ সময় ফারুক মোল্লার নেতৃত্বে ইয়াছিন মোল্লা, মালেক, ফুরকান সহ আরো অনেকে তার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে মারধোর, লুটতরাজ ও ভাংচুর করে। খবর পেয়ে কসবা থানার সাব ইন্সপেক্টর নিয়ামুল ও সংগীয় ফোর্সরা আহতদের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দিয়ে কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। কিন্তু পথিমধ্যে চাপিয়া নামক স্থানে পুনরায় সন্ত্রাসী কায়দায় ফারুক মোল্লা গং ৬/৭টি হোন্ডাযোগে এসে আহতেদের অটোরিক্সা থেকে নামিয়ে এলোপাথারী মারধোর করে। আহতরা থানায় ফোন দিলে পুলিশ তাদের পুনরায় উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। আহতরা হলো সুফিয়া বেগম (৫০), বিলকিছ বেগম (২৮), আবু বকর মোল্লা (৩০), সোলায়মান মোল্লা (১৮), মোস্তাকিন মোল্লা (২৮) ও হুমায়ুন মোল্লা (৪২)। ভ’ক্তভোগী হাবিবুর রহমান মোল্লা জানান, গত ৩০ জানুয়ারি সকালে কসবা থানায় আমি মামলা করতে গেলে পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। কিন্তু পুলিশ ওই সকল হামলাকারীদের মিথ্যা মামলা গ্রহন করে। ওই দিনই হাসপাতাল থেকে হুমায়ুন মোল্লা নামে আমাদের একজনকে পুলিশ ধরে এনে চালান দেয়। পরে আমি নিরুপায় হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি কসবা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করি। আদালত উক্ত মামলাটি তদন্ত করার জন্য কসবা থানাকে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে কসবা থানা অফিসার্স ইনচার্জ মো.আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন; মামলা হওয়ার মতো হয়তো এমন কিছু হয়নি তাই মামলা নেয়া হয়নি । কোর্টে মামলা করে থাকলে তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.