মেঘনা সেতু নির্মাণে পরিদর্শন করলেন;দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রতিনিধি দল

প্রশান্তি ডেক্স ॥ মেঘনা নদীতে (ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়ক) মেঘনা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ডাইয়ূ, হুন্দাই ও কোরিয়া এক্সওয়ে কর্পোরেশনের একটি যৌথ কনসোর্টিয়াম প্রতিনিধি দল গত বুধবার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দী ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিষনন্দী এলাকায় ৭ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১.৬৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৪ লেনের এই সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ অর্থায়নে এই মেঘনা সেতুটি নির্মাণ করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিনিধি দলের সেতু এলাকা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ডাইয়ূর প্রকল্প পরিচালক মি. কাহংবু লি, প্রকল্প বিশেষজ্ঞ মি. জাংগিয়ন লি, কেইসির ঢাকা অফিসের মি. জিনহু পার্ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) এর সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম সচিব ড. মনিরুজ্জামান, মেঘনা সেতুর প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন, উপ-সচিব আলতাফ শেখ, রাহিমা আক্তার, তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী অহিদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী ডা. মাহমুদ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সারোয়র প্রমুখ। পরিদর্শনকালে ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, এই সেতু নির্মাণ হলে সোনারগাঁ উপজেলার বাস্তুল ও রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় ঢাকা বাইপাস (এশিয়ান হাইওয়ে) দিয়ে বিকল্প হিসেবে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যান চলাচল করতে পারবে। এতে ঢাকা-মেঘনা-দাউদকান্দি-ময়নামতির দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার কমে আসবে। অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট রুটের দূরত্বও ২৭ কিলোমিটার কমবে। এতে ঢাকার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের সঙ্গে ঢাকার দূরত্বও কমে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.