রাসুল (সা.) যে তিন কাজে বিলম্ব করতে নিষেধ করেছেন

প্রশান্তি ডেক্স ॥ যেকোনো নেক আমল দ্রুত করা উচিত। কেননা এই মূল্যবান সময় যেকোনো সময় হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সাতটি বিষয়ের আগে তোমরা দ্রুত নেক আমল করো। তোমরা কি এমন দারিদ্র্যের অপেক্ষা করছ, যা তোমাদের সব কিছু ভুলিয়ে দেবে? নাকি ওই ঐশ্বর্যের, যা তোমাদের দর্পিত বানিয়ে ছাড়বে? নাকি এমন রোগের, যার আঘাতে তোমরা জরাজীর্ণ হয়ে পড়বে? নাকি সেই বার্ধক্যের, যা তোমাদের অথর্ব করে ছাড়বে? নাকি মৃত্যুর, যা আকস্মিক এসে পড়বে? নাকি দাজ্জালের, অনুপস্থিত যা কিছুর জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, সে হচ্ছে সেসবের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট? নাকি কিয়ামতের অপেক্ষা করছ, যে কিয়ামত সর্বাপেক্ষা বিভীষিকাময় ও সর্বাপেক্ষা তিক্ত?’ (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৩০৬)
এই হাদিস সামনে থাকা সত্ত্বেও রাসুল (সা.) বিশেষভাবে তিন কাজে বিলম্ব করতে নিষেধ করেছেন।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’ (তিরমিজি শরিফ)
১. যখন নামাজের সময় হয়, সঙ্গে সঙ্গে আদায় করা উত্তম। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘নামাজের প্রথম ওয়াক্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি, আর শেষ সময় আল্লাহর ক্ষমা। (তিরমিজি ও মিশকাত, হাদিস : ৬০৬)
২. জানাজার নামাজ মাকরুহ সময়ও পড়া জায়েজ। জানাজা বিলম্ব করা মাকরুহ। কেননা মৃত ব্যক্তি যদি জান্নাতি হয়, তাহলে তাকে দেরি করার দ্বারা জান্নাতের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করা হলো। আর যদি জাহান্নামি হয়, তাহলে তাকে শাস্তি থেকে দূরে রাখা হলো। ৩. যখন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং কুফু বা সমমানের পাত্র-পাত্রী পাওয়া যায়, অভিভাবকের দায়িত্ব তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। ছেলে-মেয়েদের যত দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করা যাবে ততই তারা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারবে। (তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫।

Leave a Reply

Your email address will not be published.