‘সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করতেই পিলখানা হত্যাকান্ড’

প্রশান্তি ডেক্স ॥ বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করতে পিলখানা হত্যাকান্ড করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম। গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পিলখানা হত্যাকান্ডের ১২ বছর পূর্তিতে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
পিলখানা হত্যাকান্ড বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, এ হত্যাকান্ডের তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি। এ হত্যাকান্ড করা হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য। এর বেনেফিশিয়ারি কারা, সেটি দেশবাসী পরিষ্কার জানতে চায়।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, এ বছরের মধ্যে এ হত্যাকান্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা ও মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। শহীদ পরিবারগুলো মনোবেদনার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। তাদের শান্তি ও শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য দ্রুত এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার আশা করি। সেই সঙ্গে এ দেশে আমরা সুশাসন কামনা করি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করা হয়েছে, তার মুক্তি কামনা করি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সামরিক ও বেসামরিক যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করার জন্য আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। দীর্ঘ ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, এখন পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা করা সম্ভব হয়নি। বিচারের এ দীর্ঘসূত্রতা আমাদের সবাইকে হতাশ করেছে। দেশবাসী মর্মাহত হয়েছে। ইতোমধ্যে নিম্ন বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাকে খালাস দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি, কয়েকজনকে আনা হয়েছে। কিন্তু এ হত্যাকান্ডের যারা পরিকল্পনাকারী, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী, তারা এখন পর্যন্ত পর্দার অন্তরালে রয়েছে। দেশবাসীর সামনে তাদের পরিচয় স্পষ্ট নয়। আমরা সরকারকে অনুরোধ জানাবো এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘ঘটনার অববহিত পরে লেফটেনেন্ট জেনারেল জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সেনা কর্তৃপক্ষ একটি কোড অব ইনকোয়ারি পরিচালনা করেছিলেন। সেই তদন্ত কমিটির রায় এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। আমরা সেটি প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি। অফিসারদের রক্ষা করায় একজন সুবেদার মেজরকে হত্যা করা হয়েছিল, তার পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো সুযোগ সুবিধা পায়নি। এ ব্যাপারে সরকারের আশুদৃষ্টি কামনা করছি। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published.