জামুকার সিদ্ধান্ত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না…ফখরুল

প্রশান্তি ডেক্স ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি আগেও বলেছি, জামুকার সিদ্ধান্ত কখনই দেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের মানুষের কাছে এটা গ্রহণযোগ্য হবে না। জিয়াউর রহমানের অবদানকে কেউ খাটো করে দেখাতে চাইলে খাটো করে দেখাতে পারবে না। গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই খেতাব তো জিয়াউর রহমান অর্জন করেছেন। এটা কারো দয়ায় পাওয়া নয়। যুদ্ধ করেছেন তিনি এবং তিনি সেটা অর্জন করেছেন। সুতরাং এটা নিয়ে আমরা মনে করি যে, জিয়াউর রহমানের কোনো রকমের কোনো ক্ষতি তারা করতে পারবে না। সিঙ্গাপুরে টিকা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে (সিঙ্গাপুর) বিদেশিদের টিকা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এখানে এসে দেখবো কী অবস্থা। রেজিস্ট্রেশন করে তখন চেষ্টা করবো।
শরীরের অবস্থা কেমন প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভালো না। আমি অসুস্থ, এখনো সুস্থ নই। সিঙ্গাপুরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থেকে তারপরে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফিরলাম।
এ সময় সদ্যপ্রয়াত গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ সাহেব আমার ব্যক্তিগত বন্ধু ছিলেন। আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি তার মৃত্যু সংবাদে। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সাহেব নিঃসন্দেহে এই দেশের একজন মানুষ যাকে বলা যেতে পারে যে, এ ম্যান অব ইন্ট্রিগ্রেটি, ম্যান অব অনেস্টি অ্যান্ড ডিগনিটি। ব্যাংকিং সেক্টরে তিনি একজন দিকপাল ছিলেন। দুই জনের মৃত্যুতে জাতি দুই জন অত্যন্ত যোগ্য মানুষকে হারালো।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মির্জা ফখরুল তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের সঙ্গে দেশে ফেরেন। বিমানবন্দর টার্মিনালের হুইল চেয়ারে করে গাড়ির কাছে আসেন এবং হুইল চেয়ারে বসেই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। গত ৩০ জানুয়ারি স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান বিএনপির মহাসচিব। সেখানে ফারার পার্ক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.