প্রশান্তি ডেক্স ॥ হাতে এক নাবালিকার কাটা মাথা। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। বুধবার বিকালে উত্তরপ্রদেশের হারদোই জেলার পান্ডেতারা গ্রামের এই দৃশ্য কার্যত হইচই ফেলে দিয়েছে ভারতজুড়ে। লখনউ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ওই গ্রাম। কাটা মাথা নিয়ে ওই ব্যক্তিকে হাঁটতে দেখেই এক প্রত্যক্ষদর্শী খবর দেন পুলিশে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম সরবেশ কুমার। তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, হাতে কার মাথা এবং কোথা থেকে আসছেন তিনি। উত্তরে সরবেশ জানান, মেয়ের মাথা। কোনও দ্বিধা না করেই নির্বিকার বলতে থাকেন, “একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল মেয়ে। আমার পছন্দ হয়নি। যখন বাড়িতে কেউ ছিল না, দরজা বন্ধ করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করেছি মেয়েকে। দেহ বাড়িতে।” সব শোনার পর ওই কাটা মাথা মাটিতে নামিয়ে রাখতে বলেন এক পুলিশ কর্মী। সরবেশও কোনও প্রতিবাদ না করে তাই করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
হারদোই জেলার পুলিশ কর্মকর্তা কপিল দেও সিং বলেন, “সরবেশ নামে এক ব্যক্তি তার নাবালিকা মেয়েকে হত্যা করেছেন। মেয়ের কাটা মাথা হাতে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে তাকে। খবর পেয়েই আমরা ছুটে যাই এবং তাকে গ্রেফতার করি। আপাতত তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
২০১৯ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, নারীদের ওপর অপরাধের নিরিখে দেশে শীর্ষে রয়েছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। শুধু তাই নয়, নাবালিকাদের ওপর অপরাধের জন্য পকসো ধারায় সব চেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশেই। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পশ্চিমবাংলা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করেছিলেন, ‘বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষা নেই।’ পাল্টা জবাবে মালদার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নুর বলেন, “উত্তরপ্রদেশে নারীরা কতটা সুরক্ষিত, হাথরসে নারী নির্যাতনের ঘটনাই দেশবাসীর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।” সূত্র: আজকাল