নিখুঁততা অর্জনে সফলতা

নিখুঁত বলতে পৃথিবীতে কিছু নেই। তবে এই অর্থে যে, মনুষ্যদ্বারা সৃষ্টির কোন কিছুতেই নিখুততা পাওয়া যাবে না। তবে সৌন্দর্য্যরে দিক দিয়ে নিখুততার কাছাকাছি পৌঁছা গেলেও অন্যসকল কিছুর ক্ষেত্রে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিকই রয়েছে। সকলেই মানব কল্যাণের কথা চিন্তা করেই সকল কিছু করে গেছে এবং যাচ্ছে; এর অর্থ এই নই যে, ঐ সকল কিছুতেই সার্বজনীন উপকারে উপকৃত হয়েছে। উপকার অপকার উভয়ই হয়েছে এবং হবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু এই নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটানো সম্ভব নয় আর কেউ যদি এর ব্যাত্ব্যয় ঘটাতে চায় তাহলেই ঘটবে হীতে বিপরীত এবং হয়েছেও তাই। একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই নিখুঁততা অর্জনে সক্ষম এবং হয়েছেনও তাই। তাঁর সমকক্ষ হওয়ার অপচেষ্টা ধ্বংসের কারণে পর্যবসীত হয়েছে এবং হবে।
নিখুঁত ও সফলতা এই দুইটি যদিও কাছাকাছি এবং এক অন্যের পরিপূরক তবে দুটিই স্বাধীন বহুলাংশে ব্যবহৃত স্বয়ং সম্পূর্ণ শব্দ। এই ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া দুরূহে সহজ কিন্তু নিখুঁততা পাওয়া অসম্ভব। আমাদের দেশীয় রাজনীতির নিখুঁততা অর্জনে মরিয়া আজ আওয়ামীলীগ। আর এর থেকেই শিক্ষা নিয়ে এগুচ্ছে বাকিরা তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মাঝে মাঝে আস্থা হারিয়ে খেয় হারিয়ে ফেলেছে। আইন, আদালত, শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা, মোট কথায় সেবায় কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত না হলেও সার্বজনীন এবং সমান্তরাল সেবায় কিছুটা ভাটা দৃশ্যমান রয়েছে। শেখ হাসিনার একক চেষ্টা এবং অব্যাহত প্রচেষ্টা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতেও যাবে… কিন্তু তারপরে কি হবে ভেবে দেখেছেন কি? বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী এবং স্বাধীনতার মাসে বাংলাদেশ এবং আওয়ামী সরকারের হাজারো অর্জনের আরেকটি শক্তিশালি অর্জন হলো উন্নয়নশীল দেশে পদার্পন এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এখন শুধু স্থায়ীত্বের জন্য কাজ করে যাওয়া। এই অর্জনের কান্ডারী ও চালিকাশক্তি এবং সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনাকারী শেখ হাসিনাকে প্রশসংসা করে ছোট করবো না বরং তাকে আমৃত্যু দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে সহায়তা করার অঙ্গিকারে দেশবাসী আবদ্ধ।
সবকিছুই করা হয় ভালোর জন্য। আর কোন ভাল তাৎক্ষনিক, কোন ভালো সম-সাময়ীক, আর কোন ভালো দির্ঘমেয়াদী, আরো কোন ভালো কখনো কখনো খারাপেও পরিণত হয়। এখন মুখ্য বিষয় হলো ঐসকল খারাপ বিষয়গুলোকে পরিচ্ছন্ন করে ভালোতে পরিণত করাই হলো দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য। আর এই সাফল্য অর্জনের জন্যই জনগণ আমৃত্যু ক্ষমতা দিয়ে দেশ শাসনের সুযোগ দিয়েছে। সমালোচনা হচ্ছে হবে এবং বাস্তব ঘটনার মধ্যেও খারাপের দৃষ্টান্ত থাকবে; ঐ দুইয়ের সমন্বয়েই পরিচ্ছন্নতায় সামনে এগিয়ে গেলে দেশ তথা জাতি উপকৃত হবে এবং শেখ হাসিনার আকাশচুম্বি ক্ষমতা এবং সম্মান উদ্ধাকাশে গিয়ে পৌঁছাবে। বঙ্গবন্ধু যা শেষ করতে পারেনি এবং জীবদ্দশাই কল্পনাও করেনি শেখ হাসিনা তা করেছে এবং আরো করে ইতিহাসে বিশ্বজয়ী জীবন্ত কীংবদন্তী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে।
আমাদের নেতারা এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে না এবং সমালোচকরাও সমালোচনাকে ইতিবাচক মনে করতে পারে না। বরং সমালোচনা করে নিজেদেরকে অন্ধকারের তলানীতে নিয়ে আর কোন জায়গাই পাচ্ছে না। এই অবস্থার অবসান জরুরী এবং উভয়ের মধ্যে ধৈয্য ও সহ্যগুন বৃদ্ধি করে জনকল্যাণে আরো গ্রহণযোগ্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সম্মান যা ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে তা ধরে রাখার জন্য শেখ হাসিনার সাহসী ও ইতিবাচক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। আর ঐ সকল পদক্ষেপ এককভাবে বা দলীয়ভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই দল-মত নির্বিশেষে বাস্তবায়নের নিম্মিত্তে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ায় এখন সময়ের দাবী। দেশে আর কোন বিভেদ নেই। বরং বিভেদ সৃষ্টিকারীরা চিহ্নিত এবং বর্তমানে তলানীতে ও নিশ্চিন্যের পথে। তাই সকল জনগণকে সম্পৃক্ত করার এবং ঐক্যের সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করার এখনই সময়। কোন বিভেদই এখন আর কাম্য নয়। বরং বিভেদ অবসানই এখন সময়ের উপযুক্ত দাবি।
বিশ্ব এখনো আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছে না বরং বাংলাদেশ সকল আতঙ্ক কাটিয়ে উঠে নিশ্চিত আগামীর গন্তব্যের দিকে শক্তিশালীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যা দেখে আগামীর বিশ্ব শিক্ষা ও দিক্ষা নিতে এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশের কোন প্রতিবন্ধকতা নেই বরং সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ ও করে দেয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার ক্যারেশমেটিক গুনাবলীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তাই এখনও যারা ভুল স্বপ্ন দেখছেন এবং মানুষকে ভুল স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাদেরকে বিনয়ের সঙ্গে বলছি স্বাধীনতার মাসে ফিরে আসুন অগ্নিঝড়া মার্চের সেই উত্তাল দিনগুলিকে স্মরণ করে। আর যারা আমরা সরকারে আছি, দলে আছি এমনকি সরকারের সঙ্গে ভালো সর্ম্পকের জালে আবদ্ধ রয়েছি; আমরা সকলেই ক্ষমা ও ভালবাসায় পূর্ণ হয়ে সেবকের ভুমিকা সুপ্রসস্থ করি যাতে আগামীতে সেবার মান সুদৃঢ় হয় এবং স্বয়ং ঈসা আল মসীহের মতো নেতা, আত্মত্যাগ ও বিসর্জনের মাধ্যমে পৃথিবীকে সেবার মানদন্ডে সাজিয়ে তুলতে পারে। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন দিয়ে ঐ ঈসার মতোই সেবক ও সেবার মানসিকতা বিরাজমান রেখেছেন। আর সৃষ্টিকর্তা তাঁর সেবার মহিমা এইভাবেই পৃথিবীতে অক্ষত ও অক্ষুন্ন রাখবেন। তাই নিখুঁততা ও সফলতার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার লড়াইয়ে শরীক হয়ে পৃথিবীকে করে তুলি শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার অভয়ারণ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.