প্রশান্তি ডেক্স ॥ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালনের পেছনে বিএনপির অসৎ উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়াও স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের জন্য নূরুল হকের কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের চেয়ে অনেক বেশি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুলের দপ্তরিকে হেডমাস্টার বানানোর চেষ্টা করবেন না, ইতিহাসকে মেনে নিয়েই রাজনীতিটা করুন, ক্রমাগতভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করবেন না।’ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রিকশায় চড়ে সমগ্র চট্টগ্রাম শহরে মাইকিং করেছিলেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ অফিসের প্রয়াত বেয়ারার নূরুল হক। চট্টগ্রাম শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তখন হত্যাকান্ড চালাচ্ছে, যেকোনো মুহূর্তে তার বুকে গুলি হতে পারে—সেটা জেনেও সেদিনকার তরুণ নূরুল হক মানুষকে ঘোষণাটি শুনিয়েছিলেন।
২৬ মার্চ সকাল থেকে তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান স্বাধীন বাংলা বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করে শুনিয়েছিলেন। আর জিয়াউর রহমান পাঠ করেছিলেন ২৭ মার্চ। চার দেয়ালের মধ্য থেকে ঘোষণা পাঠকারী জিয়ার চেয়ে নূরুল হকের কৃতিত্ব অনেক বেশি।’ বিএনপি ঐতিহাসিত ৭ মার্চ দিবস পালন না করে ভন্ডামি করেছে বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ৭ মার্চ পালন করতে গিয়ে বিএনপির নেতারা যেসব বক্তৃতা দিয়েছেন, যেভাবে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে ৭ মার্চের বক্তব্যের সারমর্মকে খাটো করা হয়েছে। অর্থাৎ একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা ৭ মার্চ পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর জনগণ স্বাধীনতার পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য মিছিল করতে করতে রাস্তায় বেরিয়ে গেল এবং যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিল। অথচ বিএনপি নেতারা বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিলেন।’ তথ্যমন্ত্রী বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানান, ‘এ ধরনের কটাক্ষ করার উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারা দয়া করে এসব দিবস পালন করবেন না। যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন এই ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেননি।বাংলাদেশের রেডিও-টেলিভিশনে ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এই ভাষণকে বিশ্বস্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, জাতিসংঘের দলিল হিসেবে এই ভাষণ স্থান পেয়েছে।’ ঢাকা মহানগর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে সভায় সংগঠনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নাজমুল হক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিমসহ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।