প্রশান্তি ডেক্স ॥ বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তার। প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চলছে নানা তোড়জোড় ও আয়োজন। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নির্মিতব্য বায়োপিক ‘বঙ্গবন্ধু’-ও। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল চেষ্টা করছেন, ২৬ মার্চের আগেই মুম্বাইয়ে চলা শুটিং শেষ করতে। গতবছর মুজিববর্ষ অনুষ্ঠানের দিন থেকে শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলও করোনার কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। তবে এবছর জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখ থেকে মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন পরিচালক। ৮৬ বছর বয়সী নির্মাতা বেনেগালে সেটে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মুম্বাইয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রথমদিকের ঘটনা এবং ঘরোয়া বিষয়গুলো ক্যামেরায় ধরে রাখতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সে অনুযায়ী সাজানো হয়েছে সেট। মুম্বাইয়ের এই সেটে বসানো হয়েছে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ আদলের ঐতিহাসিক বাড়ি। ভেতরের একটি দৃশ্যে দেখা যাবে, ১৯৭০-এর গোড়ার কথা। খাওয়ার টেবিলে শেখ মুজিবুর রহমান। তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভাত বেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু খাচ্ছেন না, তার মনখারাপ। উনার মনে পড়ছে ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের কথা। তাই তিনি বেশ উদাস।
মনিটরে কড়া চোখ পরিচালক শ্যাম বেনেগালের। সেটে ফুটে উঠেছে একটা আস্ত ধানমন্ডি। আর এভাবেই শ্যুটিং শেষ হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকটির। বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন এবং ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন অফ ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে শেখ মুজিবর রহমানের বায়োপিক। চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করছেন আরিফিন শুভ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবেলার চরিত্রে আছেন নুসরাত ফারিয়া। এছাড়া তাজউদ্দীন আহমেদ রিয়াজ আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকায় অভিনয় করবেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে, খায়রুল আলম সবুজ (লুৎফর রহমান), দিলারা জামান (সাহেরা খাতুন), সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), শহীদুল আলম সাচ্চু (এ কে ফজলুল হক), প্রার্থনা দীঘি (ছোট রেনু), রাইসুল ইসলাম আসাদ (আবদুল হামিদ খান ভাসানী), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), তৌকীর আহমেদ (সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শওকত মিয়া) ও মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান)। বেনেগালের লক্ষ্য, ২৬ মার্চের মধ্যে মুম্বাইয়ের অংশের শুটিং শেষ করে ফেলা। এর পরের কাজটি হবে বাংলাদেশে।নির্মাতা বলেন, ‘যুদ্ধের দৃশ্য আর জনসমাবেশের শুটিং হবে বাংলাদেশে। সেখানকার কাজও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।’