প্রশান্তি আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ টিকা দেওয়ার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সরকারি ত্রাণ তহবিল অর্থনীতির মধ্যে প্রবাহিত হতে শুরু করায় যা প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, তার চেয়ে প্রবৃদ্ধির হার বেশি হবে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন এক পূর্বাভাসে এ আশার কথা বলছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভ পূর্বাভাস দেয়, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। এখন তারা বলছে, এই প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ফেড বলছে, চাকরির বাজারের পুনরুদ্ধারের দৃষ্টিভঙ্গি বেশ ইতিবাচক। সেই সঙ্গে এখনো সুদের হার বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা। ২০২৩ সালের পরও ঋণের সুদের হার শূন্যের কাছাকাছি রাখার প্রত্যাশা করছে ফেড সদস্যরা। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ার জেরোমি পাওয়েল বলেছেন, ব্যাংক তার নীতিমালা পরিবর্তন করার আগে সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার দেখতে চায়, যাতে নীতিমালা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ত্বরান্বিত করার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
পাওয়েল বলেন, ‘করোনার কারণে লাখো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। মহামারির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনীতির সেবা ও আতিথেয়তার খাতগুলো। করোনার প্রভাব স্বল্প বেতনের শ্রমিকদের ওপর মারাত্মকভাবে পড়েছে। তবে আশার কথা হলো পুনরুদ্ধার সাধারণভাবে যে প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তার চেয়ে আরও দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। যদিও আমরা এই ইতিবাচক পুনরুদ্ধারকে স্বাগত জানাই, তবে এখনই পুরোপুরি সন্তুষ্ট হওয়া উচিত নয়।’এর আগে জাতিসংঘের পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২১ সালে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে মার্কিন অর্থনীতি। এদিকে গত বছরের শেষে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও চলতি বছরের শুরুতে এসে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম মাসে দেশটিতে মাত্র ৪৯ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। খুচরা দোকান, রেস্তোরাঁ, ক্যাসিনো, হোটেল-এসব খাতেই চাকরি বেশি হারিয়েছে। বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে।