অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসি

প্রশান্তি স্পোর্স্টে ডেক্স্ ॥ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ২-০ গোল ব্যবধানে হারিয়ে দীর্ঘ সাত বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পেল চেলসি। এর আগে প্রথম লেগে ম্যাচে মাদ্রিদকে ১-০ গোল ব্যবধানে হারিয়েছিল ইংলিশ ক্লাবটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে তাদের ব্যবধান ৩-০। স্প্যানিশ লা-লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটিকে এদিন পাত্তাই দেয়নি টমাস টুখেলের শিষ্যরা। ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই চাপ ধরে রেখে ম্যাচের ৩৪ মিনিটেই গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। স্বদেশি মিডফিল্ডার কাই হাভার্টজের বাড়ানো বল ধরে জার্মান ফরোয়ার্ড টিমো ভেরনার বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ডি-বক্সে ডানে পাস দেন। আর নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়াশ। প্রথমার্ধ ১-০ গোল ব্যবধানে বিরতিতে যাওয়া চেলসি ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। কিন্তু ভেরনারের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইয়ান ওবলাক। খানিক পর জিয়াশের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটও কর্নারের বিনিময়ে ফেরান স্লোভেনিয়ার এই গোলরক্ষক।
এদিকে ম্যাচের ৮১তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগারকে কনুই দিয়ে আঘাত করায় রেফারি লালকার্ড দেখান অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের স্তেফান সাভিচকে। দুই বদলি খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের পাস ডি-বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শটে জয় নিশ্চিত করেন আগ মুহূর্তেই হাভার্টজের বদলি নামা এমেরসন। মাঠে নেমে ৪০ গজ দৌড়ে এসে এটাই ছিল এই ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের বলে প্রথম ছোঁয়া! সত্যিই অসাধারণ। এরপর আর কোনো গোল হয়নি। ফলে ২-০ তে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন টমাস টুখেলের শিষ্যরা।
এ জয়ের ফলে সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলে মোট ১৩ ম্যাচে অপরাজিত থামল চেলসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.