প্রশান্তি ডেক্স ॥ কালের বিবর্তনে প্রাকৃতিক মৌমাছির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। প্রজনন ও বসবাসের পরিবেশের অভাবে মুক্ত মৌমাছি ও মৌচাক হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দিনাজপুরের ঐতিহাসিক ঘুঘুডাঙ্গার জমিদারবাড়ির পাশের ঘুঘুডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের গাছে ও দেয়ালে প্রাকৃতিক মৌমাছির মৌচাক দেখা গেছে। স্থানীয় আরমান চৌধুরী জানান, ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার পরিবারের বংশধর মরহুম মাঈনউদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী ও মরহুম শরিফউদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী ওই প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে এবং বাইরে বৃক্ষরোপণ ও সামাজিক বনায়ন করায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। বর্তমানে ঘুঘুডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি ডা. চৌধুরী মোসাদ্দেকুল ইজদানীর দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের গাছসহ বিভিন্ন স্থানে আট-নয় বছর থেকে বসছে মৌচাক এবং প্রতি বছরই মৌচাকের সংখ্যা বাড়ছে। দরপত্রের মাধ্যমে মৌচাকগুলো বিক্রি করা হয়। গত বছর এক গাছ থেকে ১১০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়। এবার ২৫টি মৌচাক দেখা গেছে। মধু সংগ্রহকারীরা ও কৃষি অফিস জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বসবাসের উপযোগী পরিবেশের অভাব, খাদ্যের অভাব, ফসলে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের অপপ্রয়োগ, অনাড়ি মধু সংগ্রহকারীদের দিয়ে মৌচাকে অগ্নিসংযোগে মৌমাছি পুড়িয়ে হত্যাসহ নানা কারণে মৌমাছি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ মধুর মধ্যে প্রচুর পুষ্টি ও খাদ্য গুণ রয়েছে। মধু দুধ বা পানি মিশিয়ে খেলে নিমেষেই হারানো শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। দৈহিক গঠন ও সুস্বাস্থ্য তৈরি ছাড়াও মধু বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post